রাহুলকে ‘টেক্কা’ দিতে আজ সভা

রাহুল গাঁধীর সভার ভিড়কে ‘টেক্কা দিতে’ আজ, সোমবার চাঁচলের সেই কলমবাগান মাঠেই পাল্টা জনসভা করছে তৃণমূল। শনিবার রাহুলের সভায় ভিড় আছড়ে পড়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩৫
Share:

শনিবার চাঁচলে রাহুল গাঁধীর সভায় ভিড়। নিজস্ব চিত্র

রাহুল গাঁধীর সভার ভিড়কে ‘টেক্কা দিতে’ আজ, সোমবার চাঁচলের সেই কলমবাগান মাঠেই পাল্টা জনসভা করছে তৃণমূল। শনিবার রাহুলের সভায় ভিড় আছড়ে পড়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, আজ দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি কি কংগ্রেস সভাপতির সভাকে হারাতে পারবে। রবিবার দিনভর এই আলোচনা চলল চায়ের ঠেক থেকে শুরু করে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের সভার পরে শনিবার রাতেই নুর ম্যানসনে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকে জেলার ১৫টি ব্লকের দলীয় ব্লক সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের সভাস্থল ভরানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই বার্তা পেয়ে রবিবার দলীয় ব্লক সভাপতি ও পর্যবেক্ষকরা ব্লকে ব্লকে দলীয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন ব্লক থেকে সভায় লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য বাস, ম্যাক্সিট্যাক্সি, ট্রেকার, ম্যাজিক ভ্যান, ভুটভুটির অগ্রিম বুকিংও করা হয়ে গিয়েছে। এ দিকে, উত্তর দিনাজপুরে দু’টি নির্বাচনী সভা সেরে হেলিকপ্টারে এ দিন বিকেলে পুরাতন মালদহের একটি হোটেলে ওঠেন শুভেন্দু। সভা সফল করতে তিনি রাতে দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

মালদহ জেলায় বিরোধী দলগুলির শীর্ষস্তরের কোনও নেতার জনসভা হলেই সেই সভাস্থলে পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ২২ জানুয়ারি পুরাতন মালদহের নিত্যানন্দপুরে জনসভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ঠিক সাত দিন পর সেই মাঠেই পাল্টা সভা করেছিলেন শুভেন্দু। মঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, ভিড়ের নিরিখে বিজেপির সভাকে তাঁরা দশ গোল দিয়েছেন। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার দিন সন্ধেতেই কলকাতায় মালদহ জেলার দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই কলমবাগান মাঠে রাহুলের সভার দু’দিন পর পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দলের মালদহ জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী এসে চাঁচলের সভায় আমাদের দলনেত্রী ও দল সম্বন্ধে যে সব মিথ্যাচার করে গিয়েছেন, তার পাল্টা জবাব দিতে মরিয়া জেলার দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। তাই সোমবার কলমবাগান মাঠে দলীয় বিশেষ রাজনৈতিক কনভেনশনে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেবেন। কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কিছু গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক কর্মী নিজেরাই চাঁদা তুলে গাড়ি ভাড়া করে সভায় যাবেন। টেক্কা আমরা দেবই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন