প্রস্তুতি: কর্মিসভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুক্রবার, সিতাইয়ে। নিজস্ব চিত্র
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে বিশেষ কর্মিসভা হল দিনহাটার সিতাইয়ে। শুক্রবার সিতাই তামাক হাট ময়দানে এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ছিলেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া, কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ ভট্ট, জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মুক্তিপদ মণ্ডল।
এ দিন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, সব জেলার জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদ, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতিকে ভোট প্রচারে নেমে পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে নির্বাচনে তারাই রাজ্যে আসন পাবে। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে তাদের দেখা মেলে না। তাই তাদের যেমন পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুঁজে পাওয়া যায়নি, এ বারও তাদের দেখা যাবে না।’’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনই পাবে তৃণমূল। বিরোধীরা যাতে আসন না পায়, সিতাই থেকেই তাই প্রচার শুরু করতে হবে।’’ মন্ত্রীর কথায়, ভোট আসতেই অশান্তি সৃষ্টি করে আসন দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে
জেলা সভাপতি আরও বলেন, বাম সরকার ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও দিনহাটা-সিতাইয়ের মাঝে সিংগীমারি নদীর উপর সেতু করতে পারেনি। বরং তা নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে ২০১২ সালে সেতুর কাজ শুরু হয়। ভোট শেষ হলেই সেতুর উদ্বোধন হবে। এ দিনের সভায় দলীয় প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীর জন্য ভোট আবেদন করেন বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াও।