ভোটের আগে কৃষিতে নজর পাহাড়ে

বিনয় তামাং বলেন, ‘‘পিকেভিওয়াই-র অন্তর্ভুক্ত হলে পাহাড়ের কৃষকরা বহু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আগে পাহাড়কে ওই প্রকল্পে যুক্ত করার জন্য কোনও চেষ্টা করা হয়নি। প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য যাবতীয় পদ্ধতি মেনে ডিপিআর তৈরি করা হচ্ছে।’’

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ের গ্রামীণ অর্থনীতি এবং দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পশুপালন ও কৃষিকাজ। লোকসভা ভোটের আগে ঘর গুছোতে গিয়ে সেই পশুপালন ও কৃষিতেই জোর দিচ্ছে জিটিএ। লোকসভা ভোটের আগেই পাহাড়কে পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার (পিকেভিওয়াই) অন্তর্ভুক্ত করতে দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে ডিপিআর।

Advertisement

পিকেভিওয়াই কেন্দ্রীয় প্রকল্প। এর মাধ্যমে কৃষকরা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্য, উপকরণ, প্রশিক্ষণ রায়। পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণও পাবেন চাষিরা। বিনয় তামাং বলেন, ‘‘পিকেভিওয়াই-র অন্তর্ভুক্ত হলে পাহাড়ের কৃষকরা বহু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আগে পাহাড়কে ওই প্রকল্পে যুক্ত করার জন্য কোনও চেষ্টা করা হয়নি। প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য যাবতীয় পদ্ধতি মেনে ডিপিআর তৈরি করা হচ্ছে।’’

জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়ে ১০টি পৃথক ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস্টারে ৫০ একর করে মোট ৫০০ একর কৃষিজমি রয়েছে। পশুপালনের নানা সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের কাছেও রিপোর্ট পাঠাচ্ছে জিটিএ। পাহাড়ের একটা বড় অংশের মানুষ গতানুগিক কৃষিকাজ ও পশুপালনের উপর নির্ভরশীল। সূত্রের খবর, জনসংযোগ কর্মসূচি শুরুর পরেই কৃষি ও পশুপালন নিয়ে নানা অভিযোগ জমা হয়েছে জিটিএ-র দফতরে। তাই ভোটের আগেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন বিনয় তামাংরা।

Advertisement

জিটিএ সূত্রের খবর, পাহাড়ের দুই জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ৬৬ জন কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। জিটিএ-র পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে যে রিপোর্ট পাঠান হয়েছে তাতে বাংলা ফসল বিমা যোজনা ও কৃষি পেনশনে আরও বেশি সংখ্যক চাষিদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব কৃষককে সয়েল হেল্থ কার্ড দেওয়ার দাবিও জানান হয়েছে।

পশুপালনে সহায়তা করার জন্য গ্রামীণ স্তরে ১৫১টি প্রাণীবন্ধুর ফাঁকা পরে আছে বলে জানা গিয়েছে জিটিএ সূত্রে। প্রাণীবন্ধুর ১৭৬টি পদে নিয়োগের অনুমোদন পেলেও এখনও মাত্র ২৫টি পদে নিয়োগ হয়েছে। শূন্য পদে কর্মী নিয়োগের জন্য জিটিএ-র পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে গরুবাথান, মিরিক ও কালিম্পয়ে নতুন তিনটি প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরির। পাহাড়ে দুর্গম এলাকায় পশুদের চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিও হয়েছে। বিনয় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কৃষি ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ দুই দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন