—প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষাকেন্দ্রের শৌচাগারের বারান্দা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। মারধরে গুরুতর জখম ওই ছাত্রীকে বামনগোলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই রাইটারের সাহায্যে বাংলা পরীক্ষা দেয় আক্রান্ত ছাত্রী। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে।
মালদহের বামনগোলা হাইস্কুলে এই ঘটনার পর পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষকদের ঘেরাও করেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ গোমিরুদ্দিন মিঞা বলেন, ‘‘ছাত্রীটিকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আহত ছাত্রীর নাম নিবেদিতা বিশ্বাস। বামনগোলার আদাডাঙা গ্রামের বাসিন্দা নিবেদিতা গাঙ্গুরিয়া মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের মেধাবী ছাত্রী। তার স্কুলের সরকারি অনুমোদন না থাকায় সে ছাতিয়াডাঙা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিক দিচ্ছে।
নিবেদিতা জানায়, পরীক্ষা শুরুর আগে দুই সহপাঠীর সঙ্গে শৌচাগারে গিয়েছিল। তখনই পিছন থেকে কেউ তার চোখ বেঁধে দেয়। এরপর হাত পা বেঁধে মারধর করে। যে দুই ছাত্রীর সঙ্গে নিবেদিতা শৌচাগারে গিয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে তারা দাবি করে, একসঙ্গে শৌচাগার গেলেও আগেই ফিরে এসেছিল। শৌচাগারে একাই ছিল নিবেদিতা। স্কুল জানিয়েছে, বারান্দায় ওড়না দিয়ে চোখ, হাত, পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল ছাত্রীটি। অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে ছিল। ডান হাত ভেঙে গিয়েছে ওই ছাত্রীর। নিবেদিতার মা বলেন, ‘‘আতঙ্কে মেয়ে কথা বলতে পারছে না। কেন মারধর করা হল!’’