মাহালির বাড়িতে মন্ত্রী

রাজু বলেন, ‘‘মন্ত্রী আসায় আমরা খুশি। উনি আজকেই কিছু টাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ঘর তৈরিতে দরকার হলে নিজের পকেট থেকেও টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০৪:০৬
Share:

মুখোমুখি: নকশালবাড়ির কাটিয়াজোতে রাজু মাহালির বাড়িতে পর্যটন মন্ত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

প্রশাসন থেকে যে শৌচাগার দেওয়া হয়েছে তা ব্যবহারের অযোগ্য। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পোশাকটুকু পর্যন্ত নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের টিন চুঁয়ে জল পড়ে। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে এমনই হাজারো অভিযোগের ঝুলি খুলে দিলেন নকশালবাড়ির মাহালি দম্পতি।

Advertisement

শনিবার রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব যান রাজু মাহালির বাড়ি। তৃণমূলের দলীয় অফিস থেকে মন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে এ দিন কাজে যাননি ওই দম্পতি। এ দিনই তাঁদের হাতে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৪৫হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী।

গত বছর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ নকশালবাড়ির কাটিয়াজোতে রাজু ও গীতা মাহালির বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই মাহালি দম্পতির বাড়ি যান তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও বাস্তবে সরকারি কোনও প্রকল্পেরই সুযোগ পাচ্ছিলেন না ওই দম্পতি। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো অবস্থা মাহালি পরিবারের। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে কোনও মতে সংসার চালান মাহালি দম্পতি।

Advertisement

রাজু বলেন, ‘‘মন্ত্রী আসায় আমরা খুশি। উনি আজকেই কিছু টাকা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ঘর তৈরিতে দরকার হলে নিজের পকেট থেকেও টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’’

শনিবার কাটিয়াজোতে গিয়ে মাহালি পরিবারের খোঁজ করেন গৌতম দেব। গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন ওই পরিবারকে এখনও ঘর তৈরি করে দেওয়া যায়নি তা নিয়ে বিডিওর কাছে জানতে চান মন্ত্রী। ওই যোজনায় মোট ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন ওই দম্পতি। তিনটি কিস্তির মাধ্যমে তাঁদের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

মন্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। ওই পরিবার যাতে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধে পায় সেদিকে নজর রাখব।’’ মন্ত্রী আসার খবর চাউর হতেই মাহালি দম্পতির বাড়িতে এসে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন