ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এসে নির্বাচনী সভা করতে চাইছে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি। বুধবার আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে দলের কর্মিসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের জেলা নেতাদের দাবি, এ বার সেই মাঠেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে চলতি মাসে রথযাত্রায় যোগ দিতে আলিপুরদুয়ারে আসতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী কিংবা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারা।
দল সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে আলিপুরদুয়ারে নিয়ে আসতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন দলের জেলা শীর্ষ নেতারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেবার পাশের জেলা কোচবিহারে দুই জেলাকে নিয়ে নির্বাচনী সভা করেন। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তারও আগে মোদী কোচবিহার জেলায় এসেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি আলিপুরদুয়ার জেলায় কখনও আসেননি।
তবে এ বার তিনি এলে দলের নেতা-কর্মীদের সেই আক্ষেপ দূর হবে বলেই দাবি বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “জেলায় দলের নেতা-কর্মীরা চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে এসে সভা করুন। সেজন্যই আমরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা নিশ্চিত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী এ বার আলিপুরদুয়ারে আসবেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যে মাঠে সভা করেছেন, আলিপুরদুয়ার শহরের সেই প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমনন্ত্রী জেলার পাঁচটি বিধানসভাকে নিয়ে সভা করবেন।”
গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে না এলেও, বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখন জেলায় এসেছিলেন। এই প্যারেড গ্রাউন্ডেই সভা করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্বে থাকা অমিতের সভায় সে অর্থে ভিড় দেখা যায়নি। উল্টে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মিসভায় কার্যত ভিড় উপচে পড়তে দেখা গিয়েছিল।
যদিও বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় এলেও, অমিত শাহের সভার সময় জেলার দলের সাংগঠনিক শক্তি কিছুটা দুর্বল ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর সেই চিত্র একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। তাছাড়া, দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব সব সময়ই আলাদা। তাই প্রধানমন্ত্রী সভা করলে প্যারেড গ্রাউন্ডে মানুষের ভিড় উপচে পড়বে বলে দাবি বিজেপির ওই জেলা নেতাদের।