সফরে: উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার চোপড়ায় প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
গত ১০ জুন পাহাড় থেকে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫১ দিনের মাথায় ফের দার্জিলিং জেলায় পা রাখলেন। এ বার উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করার জন্য শিলিগুড়িতে উঠেছেন তিনি। তিন দিনের সফরে যে পাহাড়, তরাই-ডুয়ার্সের উন্নয়নের বিষয়টি যে অগ্রাধিকার তালিকায়8 রয়েছে, তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সের আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রাক্কালে সুকনা, জয়গাঁয় মোর্চা আইন ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ হয়। তবে নকশালবাড়িতে সাধারণ মানুষ পথে নামলে মোর্চা খুকুরি মিছিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। এই সব ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন চিন্তিত। তার উপরে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে কালো পতাকা দেখানো, বিক্ষোভের আশঙ্কা থাকায় পুলিশ ব্যাপক কড়াকড়িও শুরু করেছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাহাড়ে গোলমালের সুযোগ নিয়ে কোনও উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আত্মঘাতী হামলার মতো নাশকতার ছক কষতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী, মোর্চাদের আন্দোলনে পিছন থেকে মাওবাদীরা মদত দিচ্ছে বলেও প্রশাসনের একাংশের দাবি। যদি সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে এ দিন গুরুঙ্গ বলেছেন, পাহাড়ের আন্দোলনে মাওবাদী যোগ আছে বলে মিথ্যে অভিযোগে পুলিশ যে অত্যাচার চালাচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে।
এই সব কথা মাথায় রেখেই কড়াকড়ি বাড়িয়েছে পুলিশ। কিন্তু এত সবের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাস্তার ধারে মাঠে চা বাগানের ছেলেমেয়েদের খেলতে দেখে আচমকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। চকোলেট বিলি করেছেন খুদে খেলোয়াড়দের। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি কাউকে ভয় পাই না। কারণ, পাহাড়-সমতলের সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। দু-চার গুন্ডামির চেষ্টা করলে মানুষই জোট বেঁধে রুখে দেবেন।’’