সাজ: আজ, সোমবার শহরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে শহরের রাস্তায় হোর্ডিং। রবিবার শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র। ডানদিকে, উৎসবের মঞ্চ পরিদর্শনে গৌতম দেব। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
সব ঠিক থাকলে আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া শিবমন্দিরে একটি খেলার মাঠে উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। রবিবার রাত পর্যন্ত জোরকদমে সেই প্রস্তুতি চলেছে। রবিবার বিকালের পরে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব প্রস্তুতির কাজ দেখতে যান। শনিবারও গিয়েছিলেন তিনি। এ দিন উৎসবের মঞ্চ থেকে শুরু করে নানা খুঁটিনাটি তদারকি করেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি। মঞ্চ ঘুরে দেখার পরে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন আধিকারিকেরা।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সোজা শিবমন্দিরে বিকেল সাড়ে তিনটায় আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ৯ জন বিশিষ্টকে বঙ্গরত্ন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকেই উদ্বোধন করবেন কাওয়াখালি এলাকায় তৈরি হওয়া শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের নতুন বহুতল ভবন ‘উত্তরীয়া’র। তারপর পাহাড়ে চলে যাবেন। ২২ জানুয়ারি এনআরসি, সিএএ বিরুদ্ধে পাহাড়ে মিছিল করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ২৩ জানুয়ারি তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করবেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ উৎসবের প্রস্তুতি ঠিক মতোই এগোচ্ছে। প্রচুর মানুষ আসবে বলে আমরা আশা করছি।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মূল মঞ্চে ৩০ জন মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ইউনিটের অফিসারেরা রবিবার থেকেই মঞ্চের নজরদারি শুরু করেছেন। সমতল এবং পাহাড় দুই জায়গাতেই মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে বাড়তি সতর্কতা শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পরে পাহাড়ে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত মঙ্গলবার কোনও অনুষ্ঠান সূচি নেই মুখ্যমন্ত্রীর। তবে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
অফিসারেরা জানান, শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠান ঘিরে এ বার বেশ কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে অনুষ্ঠানটি করা হলেও এ দিন সন্ধ্যা অবধি দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে অনুষ্ঠান এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি কোচবিহারের অনুষ্ঠান ছেড়ে আসবেন কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। দফতর থেকে টাকা দেরিতে বরাদ্দ হওয়ায় বাদ পড়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ফলে বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পিছিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা
এরই মধ্যে ভুলে ভরা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের একটি নমুনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। তাতেই অস্বস্তি বাড়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এবং প্রশাসনিক মহলে। কার্ডে যুবকল্যাণ মন্ত্রীর পদ মুখ্যমন্ত্রী বলে ছাপা হয়েছিল। জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার নামের আগে শ্রীমতি বসানো হয়েছিল। যদিও সংশোধন করে নতুন কার্ড বার হয়। শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের তরফে ভুল হয়নি। কেউ কার্ডের প্রতিলিপি জাল করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে থাকবেন।