স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভ়িযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে ওই যুবক আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। মালদহের গাজোলের ধাওয়েল গ্রামের ঘটনা।
সোমবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ মৃত আরতি হাঁসদার (২৭) দেহ উদ্ধার করে। মৃতার স্বামী যোসেফ টুডুর (৩২) রক্তাক্ত দেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক বিবাদের জেরেই যোসেফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছে।
দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাওয়েল গ্রামে বাড়ি যোসেফের। পেশায় দিন মজুর যোসেফ ভিন রাজ্যে কাজ করেন। কিছু দিন আগে দিল্লি থেকে কাজ করে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। রবিবার রাতে তাঁদের দুই ছেলে পাশেই কাকার বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। ঘরে যোসেফ ও আরতি ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাংসারিক নানা বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। যোসেফের ভাই যতীন টুডু বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই দু’জনের ঝগড়া হয়। রবিবার রাতেও তুমুল ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু এমন ঘটবে আমরা কল্পনাও করিনি।’’
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কাকার বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে যায় ওই দম্পতির ছেলে। কিন্তু দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরেও বাবা-মা কেউ সাড়া না দেওয়ায় তাঁরা কাকার কাছে বিষয়টি জানায়। যতীনবাবুরা এসে জানালা দিয়ে দেখতে পান যে আরতিদেবী ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন, যতীনও রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় গাজোল থানায়। এরপর পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে। পুলিশ ওই ঘর থেকে একটি ধারালো হাঁসুয়া, একটি কুড়ুল ও একটি সাইকেল মেরামতের যন্ত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যোসেফের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যোসেফ সুস্থ হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ।