জেতা আসন হারাবেন অনেকেই

সংরক্ষণ উঠে সাধারণ হল মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদও। তবে সহকারী সভাধিপতি পদটি সংরক্ষিতই থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩২
Share:

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাপরিষদের সভাধিপতি ললিতা টিগ্গার আর সভাধিপতি হওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার বালুরঘাটে পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় সভাধিপতির পদটি তফশিলি উপজাতি মহিলা থেকে তফশিলি জাতি মহিলা আসনে পরিণত হয়েছে। সহকারী সভাধিপতি আসনটি এ বারেও সাধারণ রয়ে গিয়েছে। জেলার ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আসনেও রদবদল ঘটেছে।

Advertisement

সংরক্ষণ উঠে সাধারণ হল মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদও। তবে সহকারী সভাধিপতি পদটি সংরক্ষিতই থাকছে। তার সঙ্গে এ বার মালদহ জেলার একাধিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহকারী সভাপতির পদও আসছে সংরক্ষণের আওতায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা লাগু হতে চলেছে। তাই নির্বাচনে জিতে এলেও ক্ষমতাসীন অনেকেই একই পদে আর বসতে পারবেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের খসড়া আসন সংরক্ষণ তালিকা থেকেই এই চিত্র মিলেছে। এই খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই তা ঠিকঠাক রয়েছে কী না খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এ দিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতিদের খসড়া আসন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহকারী সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ প্রধান পদের খসড়া আসন সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করেন।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু এ বার তা সাধারণ। সহকারী সভাধিপতি পদটি গতবার সাধারণ থাকলেও এ বার তা তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। জেলার ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের মধ্যে ১১টি পদ সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩৫টি প্রধান পদ তফশিলি জাতি, ৯ টি তফশিলি উপজাতি, ২৯টি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি ও ৭৩টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। একইভাবে উপ প্রধানের ১৮টি পদ তফশিলি জাতি, ৯ টি করে তফশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির এবং ১৮টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। মালদহ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুকান্ত সাহা বলেন, ‘‘এই খসড়া সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানো যাবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত এবং ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সেইসব অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হবে শুনানির মাধ্যমে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সরকারি পদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে শুনানি হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরে এবং পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের আসন সংরক্ষণ নিয়ে আপত্তির শুনানি হবে জেলাশাসকের দফতরেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন