ইস্তফার হুঁশিয়ারি

মালদহ কলেজে মেঝেতে বসিয়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় দায় স্বীকার করে সপ্তাহখানেক আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

সনাতন দাস

মালদহ কলেজে মেঝেতে বসিয়ে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় দায় স্বীকার করে সপ্তাহখানেক আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস। সে পথেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্রের কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্যরা।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা পরিচালন কমিটির বৈঠকের পর গণ ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা। পরীক্ষা চলা পর্যন্ত কমিটিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন উপাচার্য গোপালবাবু।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সনাতনবাবুর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করলে আগামী ২১ জুনের পর গণ ইস্তফা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্যেরা। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অশিক্ষক মিলিয়ে ৬০ জন সই করে শিক্ষা দফতরে মেলও পাঠিয়েছেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা পরিচালন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে ১২জন সদস্য রয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষেরাও। গত ২৮ এপ্রিল মালদহ কলেজে প্রথম বর্ষের বাংলা ভাষার পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মেঝেতে, সাইকেল স্ট্যান্ডে এবং এক বেঞ্চে পাঁচজন করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। মালদহ সফরে এসে এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৭ জুন ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে ইস্তফা দেন সনাতনবাবু। এ দিন সনাতনবাবুর ইস্তফা নিয়ে বৈঠকে বসেন পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্যেরা। উপস্থিত ছিলেন ন’জন সদস্য। প্রত্যেকেই বৈঠকে উপাচার্যকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন।

তাঁদের দাবি, মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ভাবে মেঝেতে বসিয়ে পরীক্ষা নিয়েছেন। কারণ জেলার মধ্যে একমাত্র মালদহ কলেজেই উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে। সেই কলেজে পরীক্ষার্থীদের মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিতে হবে মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্য তথা গৌড়বঙ্গ অধ্যক্ষ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীতেশ চাকি। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাকে বদনাম করার জন্য মেঝেতে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এমন দায় নিয়ে পরীক্ষা পরিচালন কমিটির পদে থাকা যায় না। তাই গণ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ উত্তমকুমার সরকার। উপাচার্য গোপালবাবু বলেন, ‘‘এক্সিকিউটিভ কমিটির পরবর্তী বৈঠকে সনাতনবাবুর ইস্তফার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন