Suicide

থানায় ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মঘাতী তরুণী! বিয়ের দাবিতে ধর্না দেওয়ায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিল ওই নাবালিকা। সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে গলায় ফাঁস দেয় সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হেমতাবাদ (উঃ দিনাজপুর)  শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৬
Share:

হেমতাবাদ থানার ভিতরে আত্মঘাতী নাবালিকা! —প্রতীকী চিত্র।

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিল নাবালিকা। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু থানাতেই আত্মঘাতী হল সতেরো বছরের নাবালিকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হেমতাবাদ থানা এলাকায় বাড়ি আত্মঘাতী নাবালিকার। তার সঙ্গে প্রায় ২ বছরের সম্পর্ক মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙা এলাকায় বাসিন্দা এক নাবালকের। আচমকা বিয়ের দাবিতে ‘প্রেমিকের’ বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে সে। খবর যায় থানায়। এর পর হেমতাবাদ থানার পুলিশ গিয়ে ওই নাবালিকাকে থানায় নিয়ে আসে। কিছু ক্ষণ বসে থাকার পর শৌচাগারে যেতে চায় মেয়েটি। বেশ কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও মেয়েটি বেরোয়নি। একটা শব্দ কানে আসে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের। তড়িঘড়ি ভিতরে ঢোকে তারা। দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে নাবালিকা!

তখনই ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ওই নাবালকের বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, থানার ভিতরে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ নিয়ে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘‘এই ঘটনার সমস্ত দিক বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন