মান্তু ঘোষকে হেনস্থা, ধৃত দুই যুবক

ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হল টেবিল টেনিস কোচ, অর্জুন পুরস্কার প্রাপক মান্তু ঘোষকে হেনস্থায় অভিযুক্ত দুই যুবককে। রবিবার রাতে শিলিগুড়ি থানার সুভাষপল্লি বাজারের কাছে মান্তুর সঙ্গেই হেনস্থা হতে হয় তাঁর স্বামী সুব্রতবাবুকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০১
Share:

•ভয়: মান্তু ও সুব্রত। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হল টেবিল টেনিস কোচ, অর্জুন পুরস্কার প্রাপক মান্তু ঘোষকে হেনস্থায় অভিযুক্ত দুই যুবককে। রবিবার রাতে শিলিগুড়ি থানার সুভাষপল্লি বাজারের কাছে মান্তুর সঙ্গেই হেনস্থা হতে হয় তাঁর স্বামী সুব্রতবাবুকেও।

Advertisement

শিলিগুড়ি থানার আইসি দেবাশিস বসু জানিয়েছেন, ধৃত দুই যুবকের নাম সুরজ বসাক ও জয়ন্ত দত্ত। দু’জনেই ওই এলাকার বাসিন্দা।

রবিবার নীল রঙের মোটরবাইকে করে এসে মদ্যপ দুই যুবক রাস্তা থেকে গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওই দম্পতির উপর হম্বিতম্বি করেছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করে তারা। মান্তুরা পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পরে এক ব্যক্তি মোটরবাইকে এসে তাদের সতর্ক করতেই গা ঢাকা দেয় ওই দুই যুবক। পরে পুলিশ গিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে দু’ জনের পরিচয় জানতে চাইলে, কেউ তাদের চেনেন না বলে দাবি করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের বাবাও কিছু করতে পারবে না’

পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। পুলিশের একটি মহল থেকে জানানো হয়, মান্তু বা তাঁর স্বামী সুব্রতবাবু পুলিশ ডাকলেও লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে কয়েক জন অফিসার জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে কারও বয়ান নিলেই তা এফআইআর হিসেবে ধরা যায়। তা দিয়ে মামলা করে পুলিশ নিজেই তদন্ত করতে পারে। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘অত্যন্ত খারাপ আচরণ করছিল ছেলে দু’টো। এলাকারই ছেলে বলে মনে হয়েছিল।’’

সুভাষপল্লি, রবীন্দ্রনগর, রথখোলা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের বাঘাযতীন পার্ক থেকে সুভাষপল্লি বাজার হয়ে রথখোলা মোড় পর্যন্ত ছুটির দিনগুলিতে সন্ধের পর বাইক বাহিনীর দাপট বেড়ে যায়। রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে আড্ডা চলে। রাস্তা জুড়েও অনেক সময় বাইক রাখা হয়। রাতের দিকে মদ্যপদের তাণ্ডব বেড়ে যায়। প্রতিবাদ করলে উল্টে হুমকি দেয় তারা। তাই মুখ খোলার সাহস পান না কেউ। স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা বলেন, ‘‘বাইকের দাপট শহরে বেড়েই যাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার।’’

এই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন