আগাম জামিন শুনেই মোহিত উদয়

টানা প্রায় ১২ দিন ধরে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। পুলিশও তাঁর হদিশ পায়নি। এমনকী এই দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

স্বস্তি। আগাম জামিন পেয়ে প্রকাশ্যে মোহিত। নিজস্ব চিত্র।

টানা প্রায় ১২ দিন ধরে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। পুলিশও তাঁর হদিশ পায়নি।

Advertisement

এমনকী এই দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। সেই তিনিই সোমবার আগাম জামিন মঞ্জুর হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে এলেন। কথাও বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এত দিন কোথায় ছিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে জানালেন, দলের কাজে শহরের বাইরে ছিলেন তিনি।

এ দিন বিকেলে রায়গঞ্জের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক বৈদ্যনাথ ভাদুড়ি দশ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মোহিত সেনগুপ্তের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। মোহিতবাবুর দাবি, ‘‘পুরসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। বাসিন্দারা পুরভোটে এর জবাব দেবেন।’’

Advertisement

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, ‘‘মোহিতবাবুর বিরুদ্ধে পুরসভায় আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।’’

গত ৬ মার্চ রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক থেন্ডুপ নামগিয়েল শেরপা রায়গঞ্জ থানায় মোহিতবাবু সহ বিদায়ী পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরকারি অনুমোদন ও তহবিল ছাড়া ২৭০টি উন্নয়নমূলক কাজ করার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতা ও সরকারি টাকা অপব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে। ৭ তারিখ থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান মোহিতবাবু। ৯ তারিখ রায়গঞ্জ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানানো হয়। ১৬ মার্চ প্রথম শুনানির দিন পুলিশ কেস ডায়েরি জমা না করায় তা মুলতুবি হয়ে যায়।

এ দিন আগাম জামিন মেলার পরেই শহরের বিদ্রোহী ক্লাবে দেখা যায় মোহিত সেনগুপ্তকে। গিয়েছিলেন দলীয় কার্যালয়েও।

এ দিকে এ দিনই শহরের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় মোহিতবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত কংগ্রেসের একাধিক নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ইসলামপুর ও করণদিঘির দুই বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল ও মনোদেব সিংহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন