Tea Garden

চাঁদের আলোয় চা পাতা তোলা

আলিপুরদুয়ার শহরের কাছেই অবস্থিত মাঝেরডাবরি চা বাগান। এর আগে ২০১৮ সালে এই বাগানে ‘হোয়াইট টি’ তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:১০
Share:

দোলপূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলা। মাঝেরডাবরি বাগানে। নিজস্ব চিত্র

‘দোল পূর্ণিমা’য় ভরা চাঁদের আলোর ছটায় ফের এক বার ‘মুনলাইট প্লাকিং’ হল আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগানে। যে ‘মুনলাইট প্লাকিং’ দেখতে শুধু সাধারণ মানুষই নন, একাধিক চা বাগান কর্তৃপক্ষও শামিল হন।

Advertisement

দোল পূর্ণিমায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ‘মুনলাইট প্লাকিং’ শুরু হয়ে যায় মাঝেরডাবরি চা বাগানে। ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় এমনিতেই ভরে ছিল গোটা বাগান। তার উপরে বাগানের নানা প্রান্তে জ্বলে ওঠে মশালও। ‘মুনলাইট প্লাকিং’-এ যুক্ত শ্রমিকদের জন্য বিশেষ টুপিতেও আলোর ব্যবস্থা ছিল।

আলিপুরদুয়ার শহরের কাছেই অবস্থিত মাঝেরডাবরি চা বাগান। এর আগে ২০১৮ সালে এই বাগানে ‘হোয়াইট টি’ তৈরি হয়েছিল। দার্জিলিং পাহাড়ের পরে, এই বাগানে ২০২১ সালে এমনই এক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় ‘মুনলাইট টি’ উৎপাদনেও উদ্যোগী হন কর্তৃপক্ষ। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় একশো জন শ্রমিক এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এ বারের দোল পূর্ণিমায় বাগানের ২২৫ জন শ্রমিক প্রায় সাজে ছয় হেক্টর জমিতে এই কাজ করেন।

Advertisement

মাঝেরডাবরি চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ‘মুনলাইট প্লাকিং’-এ এক হাজার ২৭৮ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এটি ‘প্রথম ফ্লাশ’ (ফার্স্ট ফ্লাশ)-এর চা। আনুমানিক দাম দেড় থেকে দু’হাজার টাকা প্রতি কিলোগ্রাম, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে। মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, ‘‘আমাদের এই চা পাতারা চাহিদা বিদেশেও রয়েছে। তবে দেশের নানা প্রান্তেও এর চাহিদাও খুব একটা কম নেই। তাই এ বারের এই চা পাতা বিদেশে পাঠাতে পারব কী না, জানি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন