আর্জি আরও শিক্ষক চেয়ে

স্কুলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো খুবই সমস্যার। শিক্ষকদের কেউ ছুটিতে থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৯
Share:

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

শুধু উর্দু এবং সংস্কৃত নয়। দাড়িভিট হাইস্কুলে আরও অনেক বিষয়েই পৃথক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি উঠেছিল। এ নিয়ে পড়ুয়ারা আন্দোলনও করেছিল। গুলি-কাণ্ডের পর স্কুল খোলার সময়েও এই একই দাবি করেছিলেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

এবার স্কুল পরিদর্শকের দফতর এবং প্রশাসনের তরফেও ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ মেনে কোন বিষয়ে কতজন শিক্ষক প্রয়োজন, নতুন করে তার তালিকাও তৈরি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত ২১ জন শিক্ষক চেয়ে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।

স্কুলের প্রশাসক তথা ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ডিআইয়ের কাছে একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শক শিক্ষা আইন মেনে শিক্ষকের শূন্যপদ পাঠাবেন।’’ স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করতেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে একটি দাবিও পেশ করেছেন তাঁরা। অভিভাবকেরা জানান, নতুন শিক্ষক নিয়োগ করা না হলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হবে।

Advertisement

সূত্রের খবর, দাড়িভিট স্কুলে বর্তমানে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১৬ জন। চারজন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১৯০০। সেই হিসাবে নিয়মমাফিক ৪০ জন ছাত্র-পিছু একজন করে শিক্ষক নেই। স্কুলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো খুবই সমস্যার। শিক্ষকদের কেউ ছুটিতে থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করেই গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠে স্কুল। গোলমালে গুলিতে স্কুলের দুই প্রাক্তনীর মৃত্যু হয়। আহত হয় স্কুলের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

গন্ডগোলের ঘটনার পরই শর্তসাপেক্ষেই খোলে স্কুল। এর পরই স্কুলের শূন্যপদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয় প্রশাসন। স্কুলের মোট প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে শিক্ষা দফতর। এই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক সুজিত মাইতিকে ফোন করা হলে, ‘‘তিনি জানান বাইরে রয়েছি। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’’ অপরদিকে, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডলকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি

ফোন ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement