পুরোনো মারধরের মামলা প্রত্যাহারের জন্য লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তারপরেও মামলা তুলতে না চাওয়ায় তৃণমূল সমর্থিত এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠলো সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ি থানার মহেশ্বরপুর গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত মহিলা সুষমা দাস ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর ছেলে দুলাল স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার কথা থানাতে জানিয়েছেন আক্রান্তের পরিবার। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সিপিএম নেতৃত্ব। মোথাবাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশ্বরপুরের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক শঙ্কর দাস। তাঁর ছেলে দুলাল গাড়ি চালান। শঙ্করবাবুর স্ত্রী সুষমা দেবী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ফতেমা বিবির ঘনিষ্ঠ। বছর খানেক আগে টোটো রাখা নিয়ে শঙ্করবাবুর সঙ্গে প্রতিবেশী সিপিএম সমর্থক এক পরিবারের বচসা হয়েছিল। সেই ঘটনায় শঙ্করবাবু এবং সুষমাদেবীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের তাপসী ঘোষের স্বামী সুদীপবাবু সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুষমাদেবীরা। অভিযুক্তেরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
তবে অভিযোগ, সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সুষমাদেবীর উপরে লাগাতার হুমকি দেওয়া হত। টাকার প্রলোভনও দেখানো হত বলে দাবি আক্রান্তদের। এদিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ সুষমাদেবীর ছেলে দুলাল বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সুদীপবাবুরা দলবল নিয়ে ওই যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন সুষমাদেবী। তাঁদের লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। পরে হইচই পড়তে গা ঢাকা দেন অভিযুক্তেরা। তারপরেই আহত মা ও ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে সুষমাদেবীকে মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
সুষমাদেবী বলেন, “আমাদের নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ দিন আমাদের উপরে চড়াও হয়ে হামলা করেছে তাঁরা।” প্রাক্তন প্রধান তৃণমূলের ফতেমা বিবি বলেন, “ওই পরিবারটি আমাদের দলের সমর্থক। সিপিএম চাইছে তাদের দলে টানতে।” সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তাপসী ঘোষ বলেন, “বরাবরই মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে আমাদের। এখানে দু’পরিবারের বিবাদ।”