ছেলে কোলেই পরীক্ষা

মাত্র তিন দিন আগেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখনও অস্ত্রোপচারের ব্যথা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। ওই অবস্থাতেই সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দিলেন রতুয়া থানার কাঞ্চননগরের বাসিন্দা ফতেমা বিবি। বললেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য সংসার সামলে সারা বছর প্রস্তুতি নিয়েছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

মাত্র তিন দিন আগেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখনও অস্ত্রোপচারের ব্যথা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। ওই অবস্থাতেই সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দিলেন রতুয়া থানার কাঞ্চননগরের বাসিন্দা ফতেমা বিবি। বললেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য সংসার সামলে সারা বছর প্রস্তুতি নিয়েছি। কষ্ট হলেও পরীক্ষা দিলাম। স্কুল ও হাসপাতাল সাহায্য করলে বাকি পরীক্ষাও দিতে পারব।’’

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেমা রতুয়ার বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার কলা বিভাগের ছাত্রী। তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছে রতুয়ারই বাহারাল হাই স্কুলে। বছর দুয়েক আগে চাঁচল থানার দামাইপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক খালেজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় ফতেমার। ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় ফতেমার। শুক্রবার সন্তান জন্মের পর থেকে শয্যাশায়ী থাকলেও পরীক্ষা দিতে চান ফতেমা। হাসপাতাল এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ওয়ার্ডেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। তবে শারীরিক ভাবে দুর্বল থাকায় টানা তিন ঘণ্টা বসে পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে লিখতে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘মা-ছেলের শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। বাকি পরীক্ষাতেও তাঁকে সাহায্য করব।’’

মা হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের শয্যায় এ দিন ইতিহাস পরীক্ষা দিলেন আর এক প্রসূতি। কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীর নাম জয়া চন্দ। বাড়ি দক্ষিণ বালাসি এলাকায়। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কোচবিহারের প্রতিনিধি সঞ্জয় দে জানান, দেওয়ানহাট হাইস্কুলের ওই ছাত্রীর ধূমপুর হাইস্কুলে সিট পড়েছিল। ডিআই (সেকেন্ডারি) বালিকা গোলে বলেন, “ইচ্ছে প্রকাশ করায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন