এ বার পাহাড়ে রেকর্ড ভিড়ের আশা

গরম পড়তেই জোরকদমে পযর্টন মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়ে। গত বছর নেপালে ভূমিকম্পের প্রভাবে পাহাড়ে পযর্টন ব্যবসায় ভাঁটা পড়ে। পযর্টন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে না থাকায় গরমের মরশুম ভালই যাবে বলে মনে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৬ ০২:৫২
Share:

দার্জিলিং ম্যালে পর্যটকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

গরম পড়তেই জোরকদমে পযর্টন মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়ে।

Advertisement

গত বছর নেপালে ভূমিকম্পের প্রভাবে পাহাড়ে পযর্টন ব্যবসায় ভাঁটা পড়ে। পযর্টন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে না থাকায় গরমের মরশুম ভালই যাবে বলে মনে হচ্ছে।

আগামী জুন মাস পর্যন্ত হোটেল, লজ, রিসর্ট বুকিং শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের পর থেকে স্কুল-কলেজে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। এখনই রোজ যত ফোন, ইমেল আসছে তাতে ভিড় এবার রেকর্ড ছোঁবে বলেই তাঁদের আশা।

Advertisement

পযর্টন ব্যবসায়ী সুরেশ পেরিওয়াল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে গত বছরের থেকে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি পযর্টক পাহাড়ে আসছেন। গত বছরের নেপালের ভূমিকম্পের জেরে সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবও পাহাড়েও পড়ে। পযর্টকেরা পাহাড় নিয়ে আতঙ্কিত ছিলেন। এবার সেই সমস্যা নেই। শুধু, এই রাজ্য নয়, গুজরাত, তামিলনাড়ু মত রাজ্য থেকেও পর্যটকেরা আসছেন।’’

দার্জিলিঙের আরেক পযর্টন ব্যবসায়ী প্রদীপ লামা জানান, দার্জিলিং, সিকিম এবং নেপালকে মিলিয়ে বহু পযর্টক এই অঞ্চলে আসেন। অনেকে আবার পাহাড়ের সঙ্গে ডুয়ার্সকেও জুড়ে নেন। গতবার ভূমিকম্পে পর তাই পরপর বুকিং বাতিল হয়ে যায়। এবার এপ্রিল থেকে পযর্টকেরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। জুন মাসে হোটেলে একটিও ঘর পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, লাভা-লোলেগাঁও সবর্ত্র একই ছবি। আশা করি, এই মরশুম খুবই ভাল যাবে।

তবে গরমে পাহাড়ের জল সমস্যা প্রকট হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, বৃটিশ আমল থেকে দার্জিলিং পাহাড় পযর্টনের অন্যতম কেন্দ্র। গোটা বিশ্বে এই শৈলশহরের পরিচিতি রয়েছে। অথচ জলের সমস্যা আজ পর্যন্ত মিটল না। তাতে পযর্টনেও প্রভাব পড়ে। এই মরশুমে বহু হোটেলেই জলের সমস্যা হচ্ছে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মত পযর্টকরাও সমস্যায় পড়েন। ম্যাল রোড, এইচডি লামা রোডের দু’টি হোটেল মালিক তাশি পেনচো জানান, গত বছরে বুকিং বাতিলের জেরে জেরবার হয়ে পড়েছিলাম। ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এবার তা হবে না। প্রচুর বুকিং আসছে। ঘর দেওয়া যাচ্ছে না।

শৈলশহরের নাইটেঙ্গল পার্কে অফ সিজনে প্রতিদিন ৯০০ থেকে দেড় হাজার মানুষের ভি়ড় হয়। পার্কের কর্মীরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রির হিসাবে এখনও সংখ্যাটা গড়ে রোজ ৪০০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দুপুর দূ’টোর পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হতেই ভিড় বাড়ছে। তাতে বেশিরভাগ দর্শকই পর্যটক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন