রহস্য: এই ফ্লেক্স কারা টাঙাল, জানা যাচ্ছে না। নিজস্ব চিত্র
একই রকম ফ্লেক্স। বালুরঘাট, মালদহ ও মেদিনীপুরে পাওয়া গিয়েছে। সব ফ্লেক্সেই মুকুল রায়ের ছবি। পাশে জ্বলন্ত প্রদীপের ছবি। তার পাশে দীপাবলির শুভেচ্ছা। কারা এই ফ্লেক্স দিয়েছে? নীচে লেখা নাগরিক মঞ্চ। সব ফ্লেক্সই একই রকম দেখতে বলে মনে করা হচ্ছে ফ্লেক্সগুলো একই জায়গা থেকে আনা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কারও হাত নেই বলেই দাবি মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে যিনি নেই, আমরাও তাঁর সঙ্গে নেই।’’
কিন্তু কারা এই ফ্লেক্স দিয়েছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব কাটেনি। রাতের অন্ধকারে ফ্লেক্স কেউ লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। সকালে তা দেখে সবাই অবাক। ইংরেজবাজার শহরের একাধিক জনবহুল এলাকায় দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে মুকুল রায়ের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে। আর সৌজন্যে লেখা রয়েছে মালদহ নাগরিক মঞ্চ।
নাগরিক মঞ্চের আড়ালে কারা রয়েছেন তা নিয়েই এখন চর্চা রাজনৈতিক মহলে। ঘটনায় দলের কোন নেতা জড়িত কি না, তা খোঁজ নিতে শুরু করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। এমনকী, খোঁজ নিতে শুরু করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারাও। অনুমতি না নিয়ে ফ্লেক্স ঝোলানোয় তা খুলে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
এ দিন ইংরেজবাজার শহরের পোস্ট অফিস মোড়, রথবাড়ি, রবীন্দ্র এভিনিউ সহ একাধিক স্থানে ওই ফ্লেক্স দেখা যায়। সোমবার গভীর রাতে কেউ বা কারা সেই ফ্লেক্স ঝোলাতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের কাছে মালদহ জেলার নেতাদের অস্বস্তিতে ফেলতেই এমন ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে। আর সেই সঙ্গে রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়াতে নাগরিক মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে।
এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যকে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মুকুল রায়ের অনেক অনুগামী মালদহে রয়েছেন। তদন্ত হলে তা উঠে আসবে”।
মালদহে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার। যদিও তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের আন্দোলন থেকে আমরা মমতাদির সঙ্গে রয়েছি। আমরা দিদিকে দেখে দল করি। আর দিদির কথা মতোই দল করব।’’ তবে ফ্লেক্স খুলে ফেলা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “পুরসভার অনুমতি না নিয়ে ফ্লেক্স ঝোলানো যায় না। তাই আমরা তা খুলে ফেলব।’’