Communal harmony

Communal Harmony: মৃত্যুতে মুছে গেল বিভাজন, হিন্দু প্রতিবেশীর শ্রাদ্ধের ভার নিলেন মুসলিম ব্যক্তি

মৃত ব্যক্তির বিবাহযোগ্য কন্যার বিয়ের দায়িত্বও নিয়েছেন মহম্মদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১ ০২:৪৬
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

দুঃসময়ে মুছে গেল বিভাজনের রেখা। বরং এই করোনা কালেও মালবাজারে ফুটে উঠল সম্প্রীতির ছবি। সেখানে এক দরিদ্র, হিন্দু পরিবারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি।

Advertisement

ওদলাবাড়ি এলাকার হিন্দি স্কুল পাড়ার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ ওড়িয়া দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিছু দিন আগে জানা যায়, তাঁর দু’টি কিডনিই খারাপ হয়ে গিয়েছে। সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে যান বিনোদ। কিন্তু গত ৫ জুলাই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয়।

সামান্য রোজগারেই এত দিন এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতেন বিনোদ। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন পাড়ারই বাসিন্দা মহম্মদ সাবলু। শনিবার বিনোদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রায় ২০০ অতিথির খাওয়া-দাওয়া থেকে যাবতীয় কেনাকাটা, সব কিছু নিজেহাতেই করেছেন তিনি।

Advertisement

সাবলু বলেন, ‘‘দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো আসল ধর্ম! পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। এগিয়ে না এলে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ঠিকঠাক হত না। মানবিকতার তাগিদ থেকেই এগিয়ে এসেছে। সারা দিন এখানে থেকে সব কাজ করেছি।’’ বিনোদের বিবাহযোগ্য মেয়ের বিয়ের সমস্ত খরচও তিনি বহন করতে রাজি বলে জানিয়েছেন সাবলু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি ওদের বলেছি, ভাল ছেলের সন্ধান পেলে জানাবেন আমাকে। আমি মেয়েটির বিয়ের দায়িত্ব নিলাম।’’

বিনোদের স্ত্রী সুশীলা ওড়িয়া বলেন, ‘‘মুসলমান হয়েও, যে ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উনি, কোনও দিন ভুলব না। আমার মেয়ের বিয়ের দায়িত্বও নিয়েছেন। ধর্ম সব নয়। দরিদ্র মানুষের পাশে থাকাটাই সবচেয়ে বড় ধর্ম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন