পাহাড়ে বন্ধ চলতে থাকলে সেখানকার স্কুলের পড়ুয়াদের বোর্ড রেজিস্ট্রেশন করানো হবে শিলিগুড়িতে। কাউন্সিলের প্রাথমিক সম্মতি মিলেছে।
সূত্রের খবর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হবে। লাগাতার বন্ধের জেরে পাহাড়ের স্কুলগুলিতেও পঠন-পাঠন বন্ধ। বোর্ডের নিয়মে পড়ুয়ারা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারলেও, সেই প্রক্রিয়ায় স্কুলের থেকেও কাউন্সিলকে পড়ুয়াদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে হয়। স্কুল বন্ধ থাকায় রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোনও তথ্যই স্কুলগুলি জানাতে পারছে না। দার্জিলিঙের একটি স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘কাউন্সিলকে দু’টো প্রস্তাব দিয়েছিলাম। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময় বাড়ানো অথবা অন্যত্র শিবির করে রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দেওয়া। প্রাথমিক ভাবে দ্বিতীয় প্রস্তাবে সম্মতি মিলেছে। তবে কবে কী ভাবে শিবির হবে তা পরে জানানো হবে।’’
সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি লাগোয়া পিনটেল ভিলেজ অথবা হিমাঞ্চল বিহারের মতো এলাকায় শিবির হতে পারে। সেখানে সব স্কুলের কাউন্টার থাকবে। পড়ুয়ারা এবং অভিভাবকরা শিবিরে এসে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে। হাতে সময় বাকি আর সপ্তাহতিনেক। সূত্রের খবর, আগামী অগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে বলে আইসিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সময়ের আগে বনধ প্রত্যাহার না হলে পড়ুয়াদের বছর নষ্টের আশঙ্কা করেই সমতলে শিবির করার ভাবনা পাহাড়ের স্কুলগুলির।
পাহাড়ের আইসিএসই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং পরিচালন সমিতির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে একাধিক বৈঠক করেছেন। গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতেও বৈঠক করেছেন তাঁরা। বনধের কারণে অন্যান্য ক্লাসের পঠনপাঠনেও ক্ষতি হচ্ছে। কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকজন অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তেমনি এক অধ্যক্ষের কথায়, ‘‘আরও কিছুদিন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ আগামী ১ অগস্ট পাহাড়ে ফের সর্বদল বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে বনধ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয় তা দেখেই পদক্ষেপ করার পক্ষপাতি পাহাড়ের অধিকাংশ স্কুলের অধ্যক্ষরা।