শিশুমৃত্যু, বন্দি আয়া

সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে। রবিবার গভীর রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। খবর জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, আয়ার গাফিলতিতে ঘুমন্ত মায়ের হাত চাপা পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১০
Share:

ঘেরাও: আটকে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত আয়াকে। নিজস্ব চিত্র

সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে। রবিবার গভীর রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। খবর জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, আয়ার গাফিলতিতে ঘুমন্ত মায়ের হাত চাপা পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির।

Advertisement

সোমবার সকাল হতেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। হাসপাতাল চত্বরে গ্রিলের ঘেরাটোপে অভিযুক্ত আয়াকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ওই আয়াকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পরে মৃতের পরিবার হাসপাতাল সুপারকে অভিযোগ জানায়। তাতে নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির নালিশও রয়েছে। হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “আয়া রাখা বৈধ নয়। সেটা অনুমোদনও করি না। মৃতের পরিজনদের অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। তবে পরিবারের লোকেরা রাজি না হওয়ায় মৃতের ময়নাতদন্ত হয়নি।” পুলিশ জানায়, এ নিয়ে সন্ধ্যে পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

কোচবিহারের এসপি অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোচবিহারের বাণেশ্বরের ছাগলবেড় এলাকার বাসিন্দা বুল্টি মোদককে পরিবারের লোকেরা ১১ এপ্রিল ওই হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই দিনই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সিজার করা হয়েছিল তাঁর। ১৩ এপ্রিল শিশুটির জন্ডিসের লক্ষণ ধরা পড়ায় তাকে এসএনসিইউতে ভর্তি করানো হয়। শিশুটি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় রবিবারই ওই বিভাগ থেকে এনে তাকে প্রসূতি বিভাগে মায়ের কাছেই রাখা হয়। এসএনইউসির এক চিকিৎসক সুব্রত হালদার বলেন , “বিলিরুবিনের মাত্রা সামান্য বেশি থাকায় শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সুস্থ হওয়ায় সকালে এসএনইউসি থেকে ছাড়া হয়।”

রবিবার রাতে পরিবারের কোনও সদস্য প্রসূতি ও সদ্যোজাতের সঙ্গে ছিলেন না। একজন আয়াকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল। বুল্টিদেবীর স্বামী খোকন মোদক বলেন, “ওই আয়া একাধিক রোগীকে দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তারপর অন্য ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জন্যই এমন ঘটনা হল। পুলিশকে সব জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগ করব।” অভিযুক্ত আয়া অবশ্য দাবি করেন, তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন