জেরা: পিনটেল ভিলেজে জেরার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে শিশু পাচার কাণ্ডে ধৃত জুহি চৌধুরীকে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
শিশু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার দার্জিলিং-এর ডিসিপিও মৃণাল ঘোষ ও দার্জিলিং সিডব্লুউসি-র সদস্য দেবাশিস চন্দকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত৷ এই মামলায় আগেই গ্রেফতার হওয়া চন্দনা চক্রবর্তী, মানস ভৌমিক ও সোনালী মণ্ডলকে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জলপাইগুড়ির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হিমানীল ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেন৷
শিশু পাচার কাণ্ডে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডির হাতে চন্দনা ও সোনালী গ্রেফতার হয়৷ তার ছয় দিন পর গ্রেফতার করা হয় মানসকে৷ শুক্রবার রাতে শিলিগুড়িতে গ্রেফতার করা হয় মৃণাল ঘোষ ও দেবাশিস চন্দকে৷ মৃণাল ও দেবাশিসের পাশাপাশি পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়া চন্দনা ও সোনালীকেও এ দিন আদালতে পেশ করে সিআইডি৷ হেফাজতের মেয়াদ আরও দু’দিন বাকি থাকলেও এই চার জনের সঙ্গে মানসকেও এ দিন আদালতে পেশ করা হয়৷ আদালতে পাঁচ অভিযুক্তকে একসঙ্গে আনা হলেও আলাদা একটি গাড়িতে ছিল সোনালী৷ চন্দনা সহ বাকিরা ছিল একটি প্রিজন ভ্যানে৷
আদালতে: আদালত চত্বরে চন্দনা ও সোনালি। নিজস্ব চিত্র
সাড়ে তিনটা নাগাদ মামলা শুনানি শুরু হতেই সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বিচারকের উদ্দেশে জানান, মৃণাল ঘোষ ও দেবাশিস চন্দ দু’জনেই চন্দনা চক্রবর্তীর বেআইনী কার্যকলাপকে অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করেছেন৷ তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন৷ তাই আদালত যেন চোদ্দো দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে৷
আরও পড়ুন: চন্দনার সবুজ ডায়েরিতেই রহস্যের চাবি
তবে মৃণাল ঘোষের আইনজীবী অলোকেশ চক্রবর্তী পাল্টা আদালতকে জানান, দার্জিলিং-এ শিশুদের রাখার কোনও হোম নেই৷ তাই সেখানকার শিশুদের জলপাইগুড়ির হোমে পাঠানো হত৷ সেই শিশুরা কেমন আছে জানতে একজন ডিসিপিওর কর্তব্য সেই হোমগুলি ভিজিট করা৷ মৃণালবাবু সেই কর্তব্যই পালন করেছেন৷
এ দিন শুনানির শেষে বিচারক ধৃতদের ছ’ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন৷