তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা। ইসলামপুর থানার পণ্ডিতপোতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার ইসলামপুরের বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন ওই পঞ্চায়েতের ৬ সদস্য। তাঁদের দাবি, প্রধান সাবির আলম দুর্নীতি করছেন। ইসলামপুরের বিডিও রাজু মন্ডল বলেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়েছে। তবে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতা ১-এর মোট আসন সংখ্যা ১১টি। সেখানে কংগ্রেস জিতেছিল ৪টি, ৩টি তৃণমূল, একটি নির্দল বাকি ৩টি সিপিএম। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠনের সময় ৪ জন কংগ্রেস সমর্থক ইসলামপুরের তৎকালীন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সময় প্রধান হন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্য সাবির আলম। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যকে উপ প্রধান করা হয়। তবে বর্তমানে চারজন তৃণমূল সদস্য ও দুই জন সিপিএম সদস্য সম্প্রতি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে দাবি। যদিও প্রধান সাবির আলম বলেন, ‘‘সম্প্রতি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের চিকিত্সা করাতে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলাম। ফিরে শুনি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য এলাকা থেকে চলে গিয়েছেন।’’ সাবির আলমের দাবি, ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এলাকাতে আরও একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। প্রধান জানান, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তো অনাস্থা আনলে তৃণমূলেরই প্রধান হবে। অন্য কোন দলের তো হচ্ছে না। যদিও এলাকার গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, ‘‘আমি সিপিএম থেকে জিতলেও সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। তবে প্রধান দুর্নীতি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই অনাস্থা ডাকা হয়েছে। ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থাতে রায় দিয়েছেন।’’ তবে তার দাবি, ‘‘কোনও কোন্দল নয়। প্রধানের কাজে আস্থা হারিয়ে অনাস্থা আনা হয়েছে।’’
কানাইয়ালাল বলেন, ‘‘পণ্ডিতপোতা ১ এর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের ব্যক্তিগত বিষয়।’’ তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘এই জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী গোলাম রব্বানিও ফিরবেন। দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’