সাক্ষী: জলপাইগুড়ি আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বেরোচ্ছেন জুহির জেঠু। নিজস্ব চিত্র
শিশু পাচার কাণ্ডে জুহি চৌধুরীর পাশে নেই তাঁর পরিবারেরই একাংশ৷ এ দিন জুহির জেঠু, জেঠুর ছেলে ও তাদের পারিবারিক এক বন্ধু অভিযোগ করেন, চন্দনা চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিন আগে জুহির কথা মতো তাঁর জেঠু ও পারিবারিক বন্ধু প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জমা করেন তিনটি অ্যাকাউন্টে৷ সিআইডি অফিসারদের সন্দেহ, জুহি চন্দনার ব্যবসায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন বলেই জেঠু ও পারিবারিক বন্ধুকে ওই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলেছিল৷
জুহির জেঠু সুরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী, সুরেন্দ্রবাবুর ছেলে সুকান্ত ও তাদের পারিবারিক বন্ধু পাপিয়া চৌধুরী এ দিন জলপাইগুড়ি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেন৷ পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা টাকা জমা দেওয়ার কথা জানান। কী ভাবে জমা দেওয়া হয় এই টাকা। সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘জুহি দু’মাসের জন্য তিন লক্ষ টাকা চেয়েছিল৷ তিনটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দেওয়ার কথা সে বলে৷ সেই অনুযায়ী রীতা ভৌমিক, সঞ্জীব সরকার ও এনএস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে, মোট দেড় লক্ষ টাকা জমা দেন আমার বাবা৷’’
জেরায়: সিআইডি দফতরে চন্দনা চক্রবর্তী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
সুকান্তদের পারিবারিক বন্ধু পাপিয়া বলেন, ‘‘সুকান্তবাবুদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক৷ তাঁরা জুহির কথা মতো আমায় দুই লক্ষ টাকা রীতা ভৌমিক ও সঞ্জীব সরকারের অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলেছিলেন৷ আমি এক লক্ষ টাকা করে দু’টি অ্যাকাউন্টে জমা করে দিই৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানতাম, জুহি ব্যবসার কারণে ওই টাকা চেয়েছে৷ এখন সব সামনে আসার পরে চমকে গিয়েছি৷ তাই সিআইডি-র কাছে আমরা নিজেরা গিয়ে সব কথা জানাই৷’’
প্রশ্ন উঠেছে, এই টাকা হঠাৎ কেন অ্যাকাউন্ট তিনটিতে জমা দিতে বলেছিলেন জুহি? সিআইডির একটি সূত্রের সন্দেহ, জুহি সম্ভবত চন্দনার ব্যবসায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন৷ এই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা জমা দেওয়ার কথা তাঁকে সম্ভবত চন্দনাই বলে দিয়েছিলেন। সেই মতো জুহি তাঁর পরিবারের লোকেদের ওখানে টাকা জমা দিতে বলেন। এই তিন জনকে মামলায় সাক্ষী করা হবে বলেও সিআইডি সূত্রের খবর৷