ধূপগুড়িতে নিগ্রহ দাদা বোনদের, অধরাই অভিযুক্তরা

বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো দেখে ফেরার পথে দাদার গ্যারাজে রাতে এসেছিলেন তিন বোন। সেখানেই তাঁদের উপরে চড়াও হয় মদ্যপরা। এক বোনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি

দাদাকে মার ও বোনেদের নিগ্রহের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হল না ধূপগুড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় যেহেতু নির্দিষ্ট করে কারও নামে অভিযোগ জমা পড়েনি তাই অভিযুক্তদের আগে চিহ্নিত করতে হবে পুলিশকে। অভিযোগ পেয়ে এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। ওই রাতে কারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল সে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তবে শনিবার রাত পর্যন্তও অভিযুক্তরা কেউ ধরা না পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নিগৃহীত যুবক ও তার বোনেরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো দেখে ফেরার পথে দাদার গ্যারাজে রাতে এসেছিলেন তিন বোন। সেখানেই তাঁদের উপরে চড়াও হয় মদ্যপরা। এক বোনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। নিগৃহীত যুবকের পরিজনেরা চাইছেন না তিনি আর ধূপগুড়িতে কাজে ফিরুন। যুবকের এক মেসতুতো ভাই ফোনে বলেন, ‘‘আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো না হলে ওই রাতে আমার দাদাকে ওরা প্রাণেই মেরে ফেলত। আমার এক ভাইকেও বেদম পিটিয়েছে ওই মদ্যপ যুবকরা। এমনকী আমাদের বোনেদের গায়ে হাত দিয়ে নিগ্রহ করেছে। না খেয়ে থাকব তবু দাদাকে আর ধূপগুড়িতে কাজে ফিরতে দেব না।’’ কোচবিহারের বড় শোলমারির বাসিন্দা ওই যুবক ধূপগুড়িতে যে গ্যারাজে কাজ করতেন তার মালিকও তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, ‘‘ওই রাতে সে তার ভাই বোনেদের নিয়ে গ্যারেজে ঘুমোতে গিয়েছিল। সেই সময় কিছু মদ্যপ যুবক গ্যারাজে হামলা করে।’’

ঘটনার পর থেকে নিগৃহীত যুবকের ছোট বোন মুষড়ে পড়েছেন। অভিযোগ, সদ্য আঠারো পেরোনো ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ যুবকরা গ্যারাজ থেকে টেন বের করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘যে নোংরা ভাষায় ওরা আমাদের গালিগালাজ করেছে তা এখনও কানে বাজছে। তিন বোনকেই মারধর করেছে ওরা। দাদা না থাকলে আমাকে ওই রাতে তুলেই নিয়ে যেত ওরা। পুলিশ ওদের শাস্তি দিক।’’

Advertisement

অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। ধূপগুড়ির বিজেপি নেতা অলোক পাল বলেন, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওই রাতে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করলে আমরা আন্দোলন করব।’’ তৃণমূল পরিচালিত ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ বলেন, ‘‘সেদিন রাতে ওই ছেলেটি ও তার বোনেদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তবে পুলিশকে বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’

জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে তারা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে আমাদের ধারণা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন