সবুজসাথী প্রকল্পে পড়ুয়াদের অনেককে সাইকেল দিতে দেরি হওয়ায় বাম শিক্ষক সংগঠনের নেতারা ছাত্রছাত্রীদের উস্কে আন্দোলনে নামিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেবের দাবি, শিলিগুড়ির স্কুলগুলির একাংশে দলের শিক্ষক সংগঠন দুর্বল থাকায় তাঁরা বিষয়টি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। রবিবার মাটিগাড়ার হরসুন্দর হাইস্কুলে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলনে গৌতমবাবু এ কথা বলেন।
তৃণমূলের শিক্ষক নেতাদের উদ্দেশে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের দোষ দিচ্ছি না। স্থানীয় শিক্ষকদের একাংশ তাদের রাস্তায় নামিয়েছিলেন। নির্বাচনে দলের প্রচার করতেই তাঁরা এটা করেছেন। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের শিক্ষা সেল এবং শিক্ষকদের ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্কুলগুলিতে আপনাদের সংগঠনের সদস্যরা কেউ না থাকায় তা হয়নি। আপনারা তৃণমূল শিক্ষাসেলকে শক্তিশালী করুন।’’
এবিটিএ-র দার্জিলিং জেলার সম্পাদক তমাল চন্দ বলেন, ‘‘তৃণমূল মনোভাবাপন্ন শিক্ষকদের সংগঠন শিলিগুড়িতে অনেক স্কুলেই যে নেই এটা মন্ত্রী স্বীকার করলেন। তবে আমরা উস্কে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় নামিয়েছি, এটা ঠিক নয়।’’ তমালবাবুর দাবি, তিনি নিজেই বাগরাকোট এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের বুঝিয়ে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সবুজ সাথী প্রকল্পে সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এক দিনে সাইকেল দিতে সমস্যা হলে বিপত্তি ঘটে। কিছু স্কুলের পড়ুয়ারা সাইকেলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পুরনো কমিটি এ দিন ভেঙে দেওয়া হয়। ভোট পর্ব চুকলে নতুন কমিটি হবে।
সবুজসাথী প্রকল্প নিয়ে এর আগে বেশ কয়েক বার বিব্রত হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর গাড়িও সম্প্রতি রাস্তায় আটকেছিলেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।