বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ কিনছে হাসপাতাল

ড্রাগ-কমিটি ছাড়াই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফি মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকার ওষুধ কিনছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে কোনও রোগের ওষুধ মিলছে। আবার কোনও রোগের ওষুধ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ড্রাগ-কমিটি ছাড়াই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফি মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকার ওষুধ কিনছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে কোনও রোগের ওষুধ মিলছে। আবার কোনও রোগের ওষুধ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিধি অনুযায়ী, কোন ওষুধ, কী পরিমাণে কেনা হবে তা ঠিক করার কথা ড্রাগ কমিটির। কোন অ্যান্টিবায়োটিক এখন আর ব্যবহার হয় না, কোন প্রতিষেধক এখন কেনা হবে তাও কমিটির বিশেষজ্ঞরা ঠিক করে দেন। তা না থাকায় বিভিন্ন বিভাগের পাঠানো তালিকা দেখে ‘পারচেজ কমিটি’-ই প্রতি মাসে প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকার ওষুধ কিনছে।

Advertisement

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সব ওষুধ কেনা হয়। হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব ড্রাগ-কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত সব বিভাগীয় প্রধানদের পরামর্শ মতো ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক কেনা হচ্ছে।’’ কিন্তু, কবে কমিটি গড়া হবে সেই ব্যাপারে স্পষ্ট করে সুপার কিছু জানাতে পারেননি।

এই ঘটনায় হাসপাতালের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, মানসিক রোগ, অস্থি-শল্য বিভাগের কয়েকজন জানান, ফি মাসে গড়ে ৬০-৭০ লক্ষ টাকার ওষুধ কেনার সময়ে কোনটা এখন কাজের, কোনটা তেমন কাজ করে না সেটা তো বিশেষজ্ঞদের পক্ষেই জানা সম্ভব। তাঁদের মত নিয়ে না কিনলে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বেশি কেনা হয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের অনুমান।

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজের একাধিক প্রবীণ চিকিৎসক জানান, সে জন্য নানা বিভাগের পাঠানো ওষুধের তালিকা ড্রাগ কমিটির সামনে পেশ করাই নিয়ম। তার পরে কমিটিই কোন ওষুধ কী পরিমাণে কেনা হবে, কোনটা পরে কিনলেও হবে এবং কী অ্যান্টোবায়োটিক এখন আর চলছে না, সেটা ঠিক করে দেওয়ার কথা।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে ড্রাগ অ্যান্ড থেরাপিউটিক কমিটির মেয়াদ ফুরোয়। কিন্তু, নতুন করে তা গড়া হয়নি। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির এক সদস্য জানান, তাড়াতাড়ি কমিটি গড়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। চলতি জানুয়ারিতেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রবীর দেব। তিনি বলেন, ‘‘সবে দায়িত্ব নিয়েছি। ওই কমিটির ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারব না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন