জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ

দল বদলে নূরজাহানই হলেন নয়া সভাধিপতি

জেলা পরিষদের সভাধপতি হিসাবে নূরজাহান বেগমই থাকবেন৷ জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সোমবার সিপিএম ছেড়ে দলে যোগ দেওয়ার পর এমনটাই জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০২:০৮
Share:

কলকাতায় তৃণমূল ভবনে নূরজাহান বেগম। ছবি: প্রদীপ আদক

জেলা পরিষদের সভাধপতি হিসাবে নূরজাহান বেগমই থাকবেন৷ জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সোমবার সিপিএম ছেড়ে দলে যোগ দেওয়ার পর এমনটাই জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী৷ সৌরভ জানান, নূরজাহান বেগম সহ সিপিএমের আরও চার সদস্য তৃণমূলে নাম লেখানোর পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে তাঁর নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটিও গঠন করেছে৷ যে কমিটি জেলা পরিষদের কাজেও সাহায্য করবে৷

Advertisement

নূরজাহান বেগম সহ এ দিন তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের চার সদস্যকে দিন তিনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম৷ ওই দিনই জেলা পরিষদে দলের আরও পাঁচ সদস্য, যারা আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদেরও বহিষ্কারের কথা জানায় সিপিএম জেলা নেতারা৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘‘এ ভাবে একের পর নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান দখলের নামে আসলে গণতন্ত্রকেই ধর্ষণ করছে তৃণমূল৷ মানুষ ঠিক সময়েই ওদের জবাব দেবে৷’’ নূরজাহান বেগমের সভাধিপতি থেকে যাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যাক এক সময়ে আমাদের ঘরের মেয়েই তাহলে আবার সভাধিপতি হচ্ছেন৷’’ জলপাইগুড়ির কংগ্রেস নেতা পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কোনও একটা দল থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতার লোভে অন্য দলে চলে যাওয়াটা অনৈতিক ৷ যারা এই কাজটা করলেন তারা মানুষের রায়ের প্রতিও চরম অবিচার করলেন৷’’

ছয় জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ আগেই হাতছাড়া হয়েছিল বামেদের। এ বার নূরজাহান বেগম-সহ আরও দুই সিপিএমের জেলাপরিষদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে ১৯ আসন বিশিষ্ট ওই জেলা পরিষদে এখন তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। এ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এক সদস্য লিখিত ভাবে তৃণমূলকে জানিয়েছেন দল না ছাড়লেও বাইরে থেকে তিনি জেলাপরিষদকে সমর্থন দেবেন।

Advertisement

এই মাসের ২২ তারিখে এই জেলা পরিষদের ছয় বাম কাউন্সিলর শিলিগুড়িতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে সিপিএমের পাঁচ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের এক জন সদস্য ছিলেন। আগে থেকেই এই জেলাপরিষদে তৃণমূলের ৪ জন কাউন্সিলর ছিলেন। ২২ তারিখে বামেদের ছয় জন যোগ দেওয়ার ফলে সেই সময় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১০ জনে। ফলে সেই দিনই ওই জেলাপরিষদ তৃণমূলের দখলে এসেছিল। এ দিন সভাধিপতি-সহ তিন জন সদস্যের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এরপরে জলপাইগুড়িতে তৃণমূল আরও বলিষ্ঠ হবে। বিধানসভায় তৃণমূল সাতটি আসনের মধ্যে ছয়টি জিতেছিল। ফলে আগামী দিনে আমরা আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement