প্রতীকী ছবি
দলীয় কার্যালয়ের সামনেই গুলিবিদ্ধ হলেন সামিম শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি পেশায় শ্রমিক সরবরাহকারী ছিলেন। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির চৌরঙ্গি মোড় এলাকায়।
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। সামিমের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশাও। পুলিশ জানিয়েছে, সামিম কালিয়াচক থানার মোথাবাড়ির টিটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ওই দিন রাতে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ থেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে মালদহ থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সামিম মোথাবাড়ির বাসিন্দা হলেও পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির পাড়া সামুণ্ডিতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। তিনি পুরাতন মালদহ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর মাসুদ হোসেনের আত্মীয়। সেই সূত্রে প্রায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা মঙ্গলবাড়ির মাসুদের নিজস্ব কার্যালয়ে আসতেন সামিম। ওই দিন রাত ১১টা নাগাদ নিজের গাড়িতে মোথাবাড়ি থেকে পুরাতন মালদহে আসেন তিনি। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলি করা হয়। তাঁর ডান বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় সামিম কাউন্সিলর মাসুদ হোসেনের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। কাউন্সিলর সহ অন্য কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। সামিম রবিবার কোনও কথা বলতে পারেননি। সামিমের আত্মীয় মিন্টু শেখ বলেন, ‘‘সামিম সু্স্থ না হলে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সে সুস্থ হলেই থানায় অভিযোগ জানাব।’’
কাউন্সিলর মাসুদ হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনায় আমরা হকচকিয়ে যাই। পুলিশকে পুরো ঘটনাটি জানানো হয়েছে।’’ পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে অনুমান, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গোলমাল হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ।