জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মণের ছেলের বিয়ের খরচ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিয়ের খরচ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের৷ যদিও, সাংসদের দাবি কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে৷
গত শনিবার কোচবিহারের গুড়িয়াহাটির শিক্ষক পল্লি এলাকার বাসিন্দা পাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মনের একমাত্র ছেলের বিয়ে হয়৷ রবিবার জলপাইগুড়ি মিলন সংঘের মাঠে তৈরি বিশাল সামিয়ানায় প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল। সামিয়ানার সামনে ছিল রাজবাড়ির সিংহদুয়ারের আদলে তোরণ৷ বিকেল থেকেই নিমন্ত্রিতরা আসতে শুরু করেন মাঠে। যাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। সাংসদের নিজের দাবি, নিমন্ত্রিতের মোট সংখ্যা দুই হাজারের কিছু বেশি। তবে বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা তৃণমূলকর্মীদের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দলেরই এক নেতার দাবি। যে মাঠে প্রীতিভোজ হল সেই এলাকার কাউন্সিলর কংগ্রেসের অম্লান মুন্সি। অম্লানবাবু বলেন, “সাংসদের ছেলের বিয়ের প্রীতিভোজের খরচ এক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে৷ প্রকাশ্যে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা দুই হাজারের কথা বলা হলেও আসলে দশ হাজারের কম নয়৷” অম্লানবাবুর কটাক্ষ, ‘‘নোটের অভাবে আর পাঁচটা সাধারণ ঘরের ছেলে-মেয়ের বিয়ে যখন বন্ধের মুখে, তখন সাংসদের এই আয়োজন কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ ’’
সাংসদ অবশ্য জানান, ব্যাঙ্ক থেকে আড়াই লক্ষ টাকা তুলেছেন। বাকিটা ধার দেনা করে ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছে থাকলেও দলের অনেককে নিমন্ত্রণ করতে পারিনি৷ অভিযোগ ভিত্তিহীন৷’’
ভিআইপি বিয়ের প্রীতিভোজকে ঘিরে শনিবার থেকেই জলপাইগুড়িতে পুলিশ সক্রিয়। ওই দিন নব দম্পতি বাড়ি ফিরলে জলপাইগুড়ি থেকে তাঁদের পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ যদিও জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি, অতিরিক্ত সুবিধা নয়, বরং রাস্তায় যানজট রুখতেই এটা তাঁদের করতে হয়েছে৷ এ দিন সকালেই পুলিশ কর্তারা মাঠ পরিদর্শনে যান৷ উর্দিধারী পুলিশের পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশও৷ বসে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরাও৷ পুলিশর এক কর্তার কথায়, প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে অনেক জন প্রতিনিধি, ভিআইপি আমন্ত্রিত ছিলেন। তাই ওই
নিরাপত্তা ব্যবস্থা।