প্রতীকী চিত্র।
সরকারি, বেসরকারি জমি দখলের অভিযোগের তদন্তের সঙ্গেই হিম্মতের নানা ব্যবসার দিকও খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিডি) অফিসারেরা।
প্রায় এক মাস ধরে পুলিশ হেফাজতে আছেন জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত। জমির কারবারের আয় থেকে হিম্মত কোথায় বিনিয়োগ করেছেন, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে শালুগাড়া এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের একটি হোটেলের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আদতে হোটেলটি একটি বিনিয়োগকারী সংস্থার হলেও কয়েকজন অংশীদার হোটেলটিকে লিজে নিয়ে চালাচ্ছেন। ওই অংশীদারদের মধ্যে হিম্মত রয়েছেন কিনা তা অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছেন, বহুতল ওই হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানান, হিম্মতের পরিবহণ, হার্ডওয়ার, মার্বেল ছাড়াও একটি মদের দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে একটি হোটেলের নাম উঠে এসেছে যার লাইসেন্স সংক্রান্ত নথিপত্রও ঠিকঠাক নেই বলে শোনা গিয়েছে।
যদিও হিম্মত বরাবর দাবি করে এসেছেন, তিনি কোনও বেআইনি কাজ করেননি। সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে চম্পসারির পূর্ত দফতরের করা মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী পরিমল সাহাকে ফের আদালতে তোলে প্রধাননগর থানার পুলিশ। আদালত এ দিন তাঁর ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, হিম্মতের ঘনিষ্ঠ পরিমল চম্পসারি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। পূর্ত দফতরের জমি দখল নিয়ে ১১ জনের নামের তালিকা মিলেছে। পরিমলও লেনদেনে জড়িত বলে অভিযোগ। প্রয়োজনে হিম্মত ও পরিমলকে সামনাসামনি জেরা হতে পারে।