ফাইল চিত্র।
করোনা নির্ণয়ে নমুনা পরীক্ষায় গতি আনতে এ বার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের রিয়েল টাইম পিসিআর যন্ত্র নিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের যন্ত্র রয়েছে। সেটিকেও নেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়। সেই মতো স্বাস্থ্য ভবন থেকে চিঠি করে তা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে দিতে বলা হয়। তবে কোচবিহারে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জেলাতেই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিপিসিআর যন্ত্রটি কোচবিহারে স্বাস্থ্য দফতরকে দেওয়া হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে নতুন অটোমেটেড আরটিপিসিআর যন্ত্র চালু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাতে এক যোগে দেড় হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যায়। আগের দুটো পিসিআর যন্ত্রেও করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার কাজ হচ্ছে। তার প্রতিটিতে একযোগে ১০০টির মতো নমুনা পরীক্ষা করতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা লাগে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন এখন দেড় হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরায় বেশি মাত্রায় নমুনা পরীক্ষার জন্য ‘পুল টেস্ট’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হয়। তাতে পাঁচ জনের লালারসের নমুনা নিয়ে একটি পুল তৈরি করা হত। সেটি নেগেটিভ এলে ধরা হয় পাঁচজনেরই কোনও সংক্রমণ নেই। তবে পুল পজ়িটিভ এলে পাঁচ জনের মধ্যে ক’জন পজ়িটিভ আলাদা করে পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করে জানতে হয়। একবার পুল তার পর আবার আলাদা করে পরীক্ষা করতে গিয়ে বেশি সময় লাগে। তাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই ‘পুল টেস্ট’ করা আর সম্ভব হচ্ছে না। অথচ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাই আরও দুটি রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভাইরোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি (ভিআরডিএল)। তাদের লক্ষ্য, দিনে সাড়ে তিন হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা। দেখা যায় উত্তরবঙ্গ এবং পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন যন্ত্র রয়েছে। প্রশাসন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে এবং ফার্মাসি বিভাগে দুটি যন্ত্র রয়েছে। সেগুলোকে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।