পুলিশ পাহারা। নিজস্ব চিত্র
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার পর এখনও আতঙ্কের রেশ রয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবারও বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানপাট। এই থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন হল ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে আগে থেকেই চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশ আধিকারিকদের। ফের গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিল প্রশাসনের কর্তাদের। এ দিন সকাল থেকেই নিরাপত্তায় ঘিরে দিয়েছিল এলাকা। সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, পদস্থ আধিকারিক-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। নজর রেখেছিলেন জেলার পুলিশ সুপারও। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন নির্দলের থেকে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্য সনজিদা নাজ।
এ দিন পঞ্চায়েত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের ইসলামপুর শহরের জীবন মোড় এলাকা থেকেই ছিল পুলিশ পিকেট। পঞ্চায়েত অফিসের যাওয়ার রাস্তায় দু’দিকে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেই ছিল বেশ কিছু পুলিশ পিকেট। ওই রাস্তা দিয়েই চলাচলকারী গাড়ি আটকে পরীক্ষা করা হয়েছিল এ দিন। বাদ যায়নি বাইকও। তবে তার মধ্যে দিয়েই সকাল প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশি প্রহরায় পৌঁছয় দুই পক্ষই। সেখানেই বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১১টি। সেখানে তৃণমূল থেকে জয়ী হয়েছিলেন ছ’জন, পাঁচজন জিতেছিলেন নির্দল থেকে। পরে ওই পাঁচজনই তৃণমূলে যোগ দেন। পরে ছয় তৃণমূলের একজন দলে টেনে বোর্ড গঠন করে নির্দল। জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘এ দিন সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বোর্ড গঠন হয়েছে। আমি নিজেই গিয়েছিলাম এলাকায়। বাইরে থেকে লোক যাতে গন্ডগোল ঘটাতে না পারে সেজন্য প্রচুর পুলিশ পিকেট করা হয়েছিল।