অটো-টোটোর বচসায় নাকাল শহর

যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অটো ও টোটো চালকদের মধ্যে দফায় দফায় গোলমাল চলল শিলিগুড়িতে। সকাল দশটা নাগাদ সেবক রোডে অটোতে উঠতে যাওয়া এক যাত্রীকে জোর করে টোটোতে চাপিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৯
Share:

যুযুধান অটো ও টোটো চালকেরা। শনিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অটো ও টোটো চালকদের মধ্যে দফায় দফায় গোলমাল চলল শিলিগুড়িতে।

Advertisement

সকাল দশটা নাগাদ সেবক রোডে অটোতে উঠতে যাওয়া এক যাত্রীকে জোর করে টোটোতে চাপিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ করলে ওই অটো চালককে মারধর করে টোটো চালকরা। এরপরেই অটো চালকরা জড়ো হয়ে পাঁচটি টোটো ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে শহরের অন্যান্য এলাকাতেও। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। ভক্তিনগরের বাসিন্দা পায়েল বসু বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একদল লোক এসে টোটো থামিয়ে নামিয়ে দিল। টোটো চালককেও মারল। হাসপাতালে হেঁটে যেতে বাধ্য হলাম।’’

সকাল দশটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত দফায় দফায় পিসি মিত্তল বাস স্ট্যান্ড থেকে পানিট্যাঙ্কি মোড়, সেবক মোড়, হাসমিচক, বর্ধমান রোড, দেশবন্ধুপাড়ায় একের পর এক এলাকায় চলে অটো এবং টোটো চালকদের ‘দাদাগিরি’। জোর করে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া থেকে মার পাল্টা মার, ভাঙচুরের অভিযোগ চলতেই থাকে। দুপুর দু’টো নাগাদ হাসমিচকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অটো চালকরা টোটো দেখলেই তেড়ে যেতে থাকে বলে অভিযোগ। চাকার হাওয়া খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি টোটোর কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাগাড়ে গোলমাল চলতে থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সঙ্গমিত লেপচার দাবি, যেখানেই গোলমাল হয়েছে দ্রুত পুলিশ পৌঁছেছে।

Advertisement

টোটো এবং অটো দুই চালক সংগঠনই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নিয়ন্ত্রণে। আজ রবিবার দুই সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। অটো চালক সংগঠনের সম্পাদক তাপস সাহার অভিযোগ, এ দিন সকালে তাঁদের সদস্য কাঞ্চন সিংহকে মারধর করে দুই টোটো চালক। অন্যদিকে টোটো চালক সংগঠনের অভিযোগ, অন্তত ৬টি টোটোতে ভাঙচুর করা হয়েছে। শতাধিক টোটো থেকে জোর করে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনটিটিইউসি প্রভাবিত টোটো চালক সংগঠনের মুখপাত্র প্রসূন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘অভিযোগ না জানিয়ে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন