ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

বছর তিনেক আগে মানিকচকের ফুলহার নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। প্রায়শই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণেই নৌকাডুবি হয় বলে দাবি প্রশাসনের।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

বিপজ্জনক: মানিকচকের ঘাটে নৌকো জোড়া করেই চলে লরি পারাপারও। দুর্ঘটনার আশঙ্কা তাই বাড়ছে। নিজস্ব চিত্র।

তিল ধারণের জায়গা নেই নৌকায়। ধারের যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকার জন্য একে অপরকে ধরে রেখেছেন। এ ভাবেই চলছে নদী পারাপার। ট্রাক্টর থেকে শুরু করে পণ্যবাহী লরিও নৌকার সওয়ারি হয়। ভরা বর্ষায় এমন ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার চলছে মালদহের মানিকচক ঘাটে। একই ছবি জেলার অন্য ঘাটগুলোতেও। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন তাঁদের নৌকডুবির আশঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এর জন্য প্রশাসনের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করেছেন তাঁরা।

Advertisement

বছর তিনেক আগে মানিকচকের ফুলহার নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। প্রায়শই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণেই নৌকাডুবি হয় বলে দাবি প্রশাসনের। মানিকচকের শঙ্করটোলা ঘাটে এখনও পাকা সেতু হয়নি। ফলে ভুতনির বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয় নৌকাতেই। ওই ঘাটে দু’টি মাঝারি নৌকাকে একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে তাতে করে পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রী নিয়ে চলে পারাপার।

মালদহ জেলা পরিষদের অধীনে ৩৪টি ফেরিঘাট রয়েছে। এছাড়া মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ওই ব্লকে আটটি ফেরিঘাট রয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি ফেরিঘাটে বোর্ড টাঙানো হবে। সেখানে ছোট এবং বড়ো নৌকায় কতজন যাত্রী নিয়ে পারাপার করা যাবে তা লিখে রাখতে হবে। ছোট নৌকায় ৩০-৩৫ জন এবং বড়ো নৌকায় ৫০ জন যাত্রী নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি নৌকায় কম পক্ষে আটটি করে লাইফ জ্যাকেট রাখার নির্দেশ রয়েছে। পাশাপাশি নৌকাতে ওঠা-নামার জন্য প্রতিটি ঘাটে সিঁড়ির ব্যবস্থা-সহ যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার এবং শৌচাগার করার নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু জেলার অধিকাংশ ঘাটে প্রশাসনের এই নির্দেশিকা মানা হয় না বলে অভিযোগ যাত্রীদের। মানিকচকের এক ঘাট মালিক বলেন, ‘‘যাত্রীদের কাছ থেকে নদী পারাপারের জন্য মাত্র দুই থেকে পাঁচ টাকা নেওয়া হয়। উল্টোদিকে যদিও ঘাট কেনা বা লিজ নেওয়ার সময় প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যায়।’’ এই কারণেই খরচ তুলতে বাধ্য হয়ে বাড়তি যাত্রী নিতে হয় বলে তাঁর দাবি। মালদহ জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ফেরিঘাটের উন্নয়নের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। মানিকচকে লঞ্চ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement