বাপ্পা সাহা
বাউন্সার হোক বা ইয়র্কার, যে কোনও বলকে অবলীলায় মাঠের বাইরে পাঠাতে পারত যে ছেলে। সে পাহাড়ি নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে তা মেনে নিতে পারছে না জলপাইগুড়ি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বাপ্পার তলিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জলপাইগুড়ির মাঠে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গত দু’বছর ধরে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন বাপ্পা সাহা। দু’দিন ধরে নদীতে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি বাপ্পার। তাই শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকের আশা শহরের মাঠে ব্যাট হাতে তাঁকে আবার দেখা যাবে।
জেওয়াইএমএ ক্লাবে দীর্ঘ ৬-৭ বছর খেলছেন বাপ্পা। ভাল ব্যাটসম্যান ছিলেন, পাশাপাশি প্রয়োজনে উইরেটকিপারের ভূমিকাতেও সাবলীল তিনি। ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য সুবীর মজুমদার বলেন, “বাপ্পা খুবই লড়াকু মানসিকতার ছেলে। দু’দশক ধরে বাপ্পার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’
সুবীরবাবুর মনে পড়ছে, ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত সোমবার সন্ধ্যার কথা। সেদিন প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ক্লাবের মিটিং হয়েছে। আগামী মরসুমে কীরকম ক্রিকেট টিম তৈরি হবে, তা নিয়ে টানা আলোচনা হয়েছে। সুবীরবাবু বলেন, “বাপ্পাও ছিল। মিটিংয়ের মাঝে মাঝে হাসি-ঠাট্টাও করেছি আমরা।’’
বিগত কয়েক বছর ধরে ই জেওয়াইএমএ-র ঘরের ছেলে বাপ্পা। মাঝে কিছুদিন উদয় সঙ্ঘে খেললেও ফিরে এসেছিলেন পুরনো ক্লাবেই। শোকের আবহ জেলা ক্রীড়া সংস্থাতেও। সচিব কুমার দত্ত বলেন, “দু’বছর জেলা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দরদ দিয়ে খেলে। দুটো দিন তো পার হয়ে গেল। কোনও খোঁজ মিলল না। কী আর বলবো। খুব খারাপ লাগছে।’’