শুভেন্দুর মঞ্চ রুখতে রাত-পাহারা

নিহত তাপস বর্মনের বাবা বাদলবাবু বলেন, ‘‘এই মাঠে কোনও সভা হবে না। আমরা তাই কোন মঞ্চও বাঁধতে দেব না সেখানে। ওরা সকাল থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাঁশ ফেলার। তাই সন্ধ্যাতেও লোকজন মাঠের এক কোণে আগুন জ্বালিয়ে বসে রয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৬
Share:

সজাগ: মঞ্চ যাতে বাঁধা না হয়, তাই রাত জেগে পাহারা। নিজস্ব চিত্র

মাঝে আর ক’টা মাত্র দিন। সামনের রবিবারই দাড়িভিট স্কুলের মাঠে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভা হওয়ার কথা। তার জন্য বুধবার থেকেই দাড়িভিট স্কুলে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করার কথা ছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কিন্তু দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত দুই তরুণের পরিবারের বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল কর্মীরা পিছু হঠতে বাধ্য হন। মঙ্গলবারই তাঁরা মঞ্চ বাঁধতে চেয়েছিলেন। নিহতদের পরিবারের লোকেরা মাঠের এক প্রান্তে তাদের পুরোনো ধর্নামঞ্চতেই ছিলেন। অন্য প্রান্তে মঞ্চ গড়তে গেলে গন্ডগোলের আশঙ্কায় তাঁরা যাননি বলে তৃণমূলের একাংশ জানান।

Advertisement

নিহত তাপস বর্মনের বাবা বাদলবাবু বলেন, ‘‘এই মাঠে কোনও সভা হবে না। আমরা তাই কোন মঞ্চও বাঁধতে দেব না সেখানে। ওরা সকাল থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাঁশ ফেলার। তাই সন্ধ্যাতেও লোকজন মাঠের এক কোণে আগুন জ্বালিয়ে বসে রয়েছেন।’’ তৃণমূলের দাড়িভিট অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুবোধ মজুমদার বলেন, ‘‘ওঁদের যা বলার বলতেই পারেন। কিন্তু আমাদের সভা হবে এই মাঠেই।

তবে পরিস্থিতি এমনই যে, শেষ পর্যন্ত মঞ্চ বাঁধা না-ও হতে পারে বলে বলে তৃণমূল নেতারা আশঙ্কা করছেন। সুবোধবাবু বলেন, ‘‘মঞ্চ না তৈরি হলেও, সভা হবে ওই মাঠেই।’’

Advertisement

আজ, বৃহস্পতিবার দাড়িভিটে ধিক্কার মিছিলও করবে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। কাজেই মঞ্চ করা যাবে কিনা তা নিয়েও চাঞ্চল্য রয়েছে এলাকাতে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল দাড়িভিট স্কুল। সেখানে গুলিতে মৃত্যু হয় প্রাক্তন দুই ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের। ঘটনার আহত হয়েছিল ওই স্কুলের এক ছাত্র বিপ্লব সরকারও। তার পর থেকে এলাকাতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের জেলার হেমতাবাদ ও চোপড়ার সভাতেই পরিবহণ মন্ত্রী ব্রিগেডের প্রচারে দাড়িভিট স্কুল মাঠে সভা করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নিহতদের পরিবার সেখানে সভা করতে দেবেন না বলে তখন থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন