ছোটদের জামা দিতে ছবি বিক্রি সঞ্জীবের

পেশাদার ফটোগ্রাফার তিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। নানা সময়ে দৌড়ে বেড়িয়েছেন উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে। কখনও কাজে, কখনও শখে। নানা সময়ে তোলা ছবির প্রিন্ট নিয়ে এখন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩০
Share:

পেশাদার ফটোগ্রাফার তিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। নানা সময়ে দৌড়ে বেড়িয়েছেন উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে। কখনও কাজে, কখনও শখে। নানা সময়ে তোলা ছবির প্রিন্ট নিয়ে এখন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। বিক্রির আশায়। ছবি বিক্রির টাকায় জামা কিনে বন্ধ মধু চা বাগান কর্মীদের সন্তানদের হাতে তুলে দিতে চান তিনি।

Advertisement

গত সাত দিন ধরে তাঁর দেখা মিলছে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। জানালেন, ষষ্ঠীর দিন সকালে মধু চা বাগানের ৫৫০ জন শিশুর হাতে পূজার জামা তুলে দেবেন তিনি। উপস্থিত থাকবেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট জনেরা। সঞ্জীবের একক প্রচেষ্টায় এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। আবার নিন্দুকেরা বলছেন নিজেকে প্রচারের আলোয় আনতেই সঞ্জীবের এই উদ্যোগ। সঞ্জীবের কথায়, ‘‘পেশার জন্য বারবার বন্ধ থাকা মধু চা বাগানে যেতে হয়েছে। ওই বাগানের শিশুদের দেখে মনে হয়েছে ওদের জন্য কিছু করি। তাই করছি। জানি অন্য সব বন্ধ চা বাগানের একই অবস্থা। শুরু তো করা গেল। এর পর আমার মত হয়তো অনেকেই এগিয়ে আসবে।’’

সঞ্জীবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ছোট বেলা থেকে ছবি তোলা তাঁর নেশা। ডুয়ার্সের বন জঙ্গল ঘুরে মনোরম নৈসর্গ, পশু, পাখি, প্রজাপতির ছবি তুলেছি। সে সব ছবি যে এমন ভাল কাজে ব্যবহার হবে ভাবিনি। ইতিমধ্যেই ১৩০টি ছবি বিক্রি করেছেন সঞ্জীব। প্রতিটি ছবি ৩০০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।আরও তিনদিনে ১৭০ টি ছবি বিক্রি করতে চান তিনি। সঞ্জীব বললেন, ‘‘৫৫০ জন শিশুর জামা কিনতে প্রায় একলক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমার বন্ধুরা অনেকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে এসেছে। অনেকেই আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে চাইছেন। ছবি বিক্রি করে যা জোগার হবে, বাকিটা বন্ধুরাই দেবে।’’

Advertisement

স্ত্রী মিতা মুখোপাধ্যায়ও সঞ্জীবের এমন উদ্যোগে খুশি। তিনি জানালেন এই কাজে সব সময় পাশে আছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement