আলিপুরদুয়ারে উদ্ধার কিশোরী

ধাওয়া করে গাড়ি ধরল পুলিশ

রাত তখন প্রায় দশটা। আলিপুরদুয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্র প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। কারণ পুলিশের দু’টি গাড়িকে ফাঁকি দিয়ে তখন জলকাদার মধ্যে ছুটছে একটি ছোট গাড়ি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৬ ০১:৫১
Share:

এই গাড়িটিই বারবার ধাক্কা মারছিল পুলিশের গাড়িকে। নিজস্ব চিত্র।

রাত তখন প্রায় দশটা। আলিপুরদুয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্র প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশে ভিড় জমিয়েছে উৎসুক জনতা। কারণ পুলিশের দু’টি গাড়িকে ফাঁকি দিয়ে তখন জলকাদার মধ্যে ছুটছে একটি ছোট গাড়ি। বার দুয়েক পুলিশের গাড়িকে ধাক্কাও মারে গাড়িটি। প্রায় আধঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি চলার পর পুলিশ গাড়িটিকে রুখে দেয়। উদ্ধার করা হয় এক তরুণ ও এক কিশোরীকে।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের অসামজিক কাজকর্ম চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। ফেরার সময় আলিপুরদুয়ার থানার সামনেই প্যারেড গ্রাউন্ডের মধ্যে ওই গাড়িটিকে সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় পুলিশ। তখনই পালাতে গিয়ে গাড়ি নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে ওই যুবক।

আলিপুরদুয়ারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম সরকার জানান রাতে মাঝ মাঠে গাড়িটি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। পুলিশকর্মীরা দেখেন গাড়িটির কালো কাঁচ তোলা। গাড়ির কাছে যেতেই গাড়ির ভেতরে থাকা তরুণ গাড়িটি চালিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। বার দুয়েক পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। প্রায় আধঘণ্টা মাঠে জলকাদায় চক্কর মেরে গাড়িটি আটকে যায়। তখনই গাড়িটিকে ঘিরে ধরেন তাঁরা। অরিন্দম বাবু বলেন, “ রাতেই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তরুণের পরিবার তাঁকে নিয়ে যায়। পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারায় ওই সংক্রান্ত মামলা করা হবে।’’

Advertisement

ওই তরুণের বাবা জানান, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। ছেলে কলকাতায় একটি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র। কাল রাতে তিনি বাড়ি ছিলেন না। ছেলে কলকাতা থেকে দিন দুয়েক আগেই ফিরেছে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি ও গাড়ি নিয়ে মাঠে ছিল। এক কিশোরীও ছিল গাড়িতে। পুলিশের গাড়িতে ধাক্কাও মারে।

আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “এখন ছেলে মেয়েদের বায়না মেটাতে নানা ধরণের গাড়ি, বাইক ও মোবাইল কিনে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। শুধু নেশা করাই নয় মোটরবাইক নিয়ে শহর দাপায় একদল তরুণ। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পুলিশের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement