Coronavirus

পুলিশি হাঁক শুনেই ঝাঁপ

শহরে থানা মোড় থেকে মার্চেন্ট রোডের রাস্তা বুধবার ছিল শুনশান। তার পরেও এক দু’টি দোকানের ঝাঁপ কিছুটা তুলে চলছিল কেনাকাটা। কোতোয়ালি থানার আইজি বিপুল সিংহ পুলিশবাহিনীকে নিয়ে রাস্তায় বের হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৬
Share:

শিলিগুড়ির হাসমিচকে মোটরবাইক আরোহীকে জেরা করছে পুলিশ। ছবি: স্বরূপ সরকার

‘ওই ধর ধর’ পুলিশের জিপ থেকে এই কথা ভেসে এসেছিল নিখিল রায়ের কানে। সেই সময় নিখিল জলপাইগুড়ি ইন্দিরা কলোনির করলা নদীর পাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। পুলিশের ‘ধর ধর’ শুনে আর গাড়িগুলি দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ধরা পড়ার ভয়ে সোজা করলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটতে থাকেন। পুলিশের জিপ চলে যেতে এ-দিক ও-দিক দেখে ডাঙায় উঠে আসেন। ততক্ষণে জামা-প্যান্ট ভিজে একশা। ভিজে গিয়েছে পকেটে থাকা মোবাইল ফোনও। পরে নিখিল বলেন, ‘‘আমি গ্যাস সার্ভিসের কাজ করি। সেই কাজ সেরেই বাড়ি ফিরছিলাম সাইকেল চেপে। নদীর পাশে বসে মাছ ধরছে দেখে দাঁড়িয়েছিলাম একটু। পুলিশকে দেখে ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি।’’

Advertisement

বুধবার পূর্ণ লকডাউনের দিনে এ ভাবেই নজরদারি চালাল পুলিশ।

শহরে থানা মোড় থেকে মার্চেন্ট রোডের রাস্তা বুধবার ছিল শুনশান। তার পরেও এক দু’টি দোকানের ঝাঁপ কিছুটা তুলে চলছিল কেনাকাটা। কোতোয়ালি থানার আইজি বিপুল সিংহ পুলিশবাহিনীকে নিয়ে রাস্তায় বের হন। পুলিশের জিপ দেখেই ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন তড়িঘড়ি। পুলিশ কিন্তু তাতে চলে যায়নি। বরং জিপ থেকে নেমে সোজা ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে তারা।

Advertisement

এ দিনই লকডাউনের মধ্যে দিনবাজার এলাকা থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শহরের সমাজ পাড়া মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেড ছিল। দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। দিনবাজার সেতু সংলগ্ন মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে দেয়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা পথ চলতি বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। রায়কত পাড়া শনি মন্দির মোড়ে পুলিশ শহরে প্রবেশ করার এক দিকের রাস্তা সম্পূর্ণ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। জরুরি কাজে যে সব গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলিকে ছাড়ও দেওয়া হয়। বেগুনটারি মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড ছিল। সেখানেও পুলিশকর্মীরা ছিলেন। কদমতলা মোড়ে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাস্তায় স্কুটিতে থাকা দুই যুবককে আটকায় পুলিশ। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল না দাবি। নিজেদের ভুল স্বীকার করে পুলিশের সামনে কান ধরে ওঠবস করে দু’জন। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ কি এই ভাবে কাউকে ওঠবস করাতে পারে?

শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকা ও অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালিয়ে লকডাউন ভাঙার অভিযোগে মোট দশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আরও জানিয়েছে, পূর্ণ লকডাউনে এ ভাবেই নজরদারি চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন