গৌড়বঙ্গে শিক্ষক হেনস্থায় ধৃত

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৮
Share:

জখম: শিক্ষক সৌরেন। নিজস্ব চিত্র

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিসের (এনএসএস) কো-অর্ডিনেটর সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থার অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আহত থাকায় ধৃত ওই ছাত্রের চিকিৎসা চলছে মালদহ মেডিক্যালের পুলিশ সেলে। এ দিকে সৌরেন শুক্রবারও মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তাঁর ইসিজি ও হাতের এক্স-রে করা হয়েছে। এনএসএসে ভর্তির আবেদনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দু’পক্ষ ছাত্রের গোলমালে জখম হওয়া দুই ছাত্রও ভর্তি মেডিক্যালের সার্জিক্যাল ২ বিভাগে। এ দিকে শিক্ষক হেনস্থার প্রতিবাদে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পড়ে প্রতিবাদ জানান। এ দিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ডিন সহ সাত জনকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রেজিস্ট্রার। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের বাইরে পুলিশ পিকেট ছিল।

Advertisement

এনএসএসে ভর্তির আবেদনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, দু’পক্ষ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তার আগে এনএসএসের কো-অর্ডিনেটর শিক্ষক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদল ছাত্র হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের চেম্বারে ভিতরেও দু’দল ছাত্রের মধ্যে ফের মারপিট হয়। হেনস্থার অভিযোগে সৌরেন ৭ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদ মন্ডল নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ছুটি হলে আদালতে পেশ করা হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

এ দিকে সৌরেন শুক্রবার অভিযোগ করেন, একদল ছাত্র এনএসএসে ভর্তির আবেদনের জন্য তাঁর চেম্বারে ঢুকে রীতিমতো দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঘরে বিবেকানন্দের একটি ছবি থাকায় তাঁকে ‘আরএসএসের লোক’ বলেও তকমা দেওয়া হয় বলে দাবি। সে সময় চেম্বার থেকে বের হতে গেলে তাঁকে ওই একদল ছাত্র নিগ্রহ করে। তাঁর দাবি, তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এ দিকে চিকিৎসাধীন দুই ছাত্র ইমরান সরকার ও আমিনুর রহমান অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা কয়েক জন ছাত্র মিলে এনএসএসে ভর্তির ব্যাপারে কথা বলতে সৌরেনবাবুর কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা কাউকে হেনস্থা করেননি। তাঁদের অভিযোগ, সৌরেনবাবুই এক দল ছাত্রকে ডেকে এনে তাঁদের উপরে হামলা করান। তাঁরা পালিয়ে রেজিস্ট্রারের ঘরে বিষয়টি জানাতে গেলে সেখানেও তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও সৌরেন তাঅস্বীকার করেন।

Advertisement

রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটির রিপোর্টে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

এ দিকে শিক্ষক হেনস্থার ঘটনায় এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানান। এক শিক্ষক বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এ ভাবে একের পর এক শিক্ষককে হেনস্থা মেনে নেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন