Kali Puja

অভিযান চলছে উদ্ধার বাজিও

গত কয়েকদিন ধরে শহরে লুকিয়ে বাজি বিক্রির অভিযোগ ছিল। কিসানগঞ্জ থেকে শহরে বাজি ঢোকারও অভিযোগ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আদালতের নির্দেশ এবং পরিবেশবিদদের চাপের মুখে বাজি উদ্ধারে কিছুটা গতিবিধি শিলিগুড়ি পুলিশ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। শিলিগুড়ি থানা ছাড়াও ভক্তিননগর থানা এলাকায় গোপনে আনা বাজি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতারিও হচ্ছে। শহরে বাজি নিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে শিলিগুড়ি পুলিশ। কিন্তু বাজি এসে শহর লাগোয়া গ্রামগুলিতে মজুত হয়ে থাকে। তাই সেসব জায়গাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। সোমবার পর্যন্ত শিলিগুড়ি সংলগ্ন আশিঘর, ইস্টার্ন বাইপাস, মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি এলাকায় বাজি ধরা পড়ার ঘটনা নজরে আসেনি। অন্যবার সেইসব এলাকায় গুদামে রাখা হয় বাজি।

Advertisement

রবিবার রাতে ভক্তিনগর থানার পুলিশ ভূপেন্দ্রনগর এলাকা থেকে মাধব শা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ভক্তিনগর এলাকায় কিসানগঞ্জের বাজি এনে বিক্রি করছিলেন তিনি। তার থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। বাগডোগরা থানা এলাকায় বাজি সমেত গত ২ দিনে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। কী ভাবে ওই বাজি শহরে এল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা থেকে বাজি ঢুকছে বলে অভিযোগ আমাদের কাছেও আসছে। আদালতের নির্দেশ তো রয়েইছে। এ দিনই পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ-প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে।’’

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরে শহরে লুকিয়ে বাজি বিক্রির অভিযোগ ছিল। কিসানগঞ্জ থেকে শহরে বাজি ঢোকারও অভিযোগ ছিল। তা নিয়ে শহরে সচেতনতা প্রচার, অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু শহর লাগোয়া এলাকায় কেন ধরপাকড় হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কমিশনারেটের কর্তারা তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। দার্জিলিং জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, নজর রয়েছে, অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন