মাথার অংশ কি গিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষায়

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান আলিপুরদুয়ার শহরের সঞ্জয় কলোনির বাসিন্দা খোকন চৌধুরী। বুধবার সকালে পাটকাপাড়া চা বাগানে তার মাথাহীন দেহটি মেলার পর বুধবার তা খোকনের বলে সনাক্ত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০৬:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাথা কার, তাই নিয়েই এখন মাথাব্যথা। কিন্তু সেই মাথার ডিএনএ পরীক্ষা করতে কি পাঠিয়েছে পুলিশ? যে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে সেখান থেকেই। যদিও জেলা পুলিশের শীর্ষ সূত্রে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের দু’দিন মাথার অংশের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তা পাঠানো হবে।

Advertisement

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান আলিপুরদুয়ার শহরের সঞ্জয় কলোনির বাসিন্দা খোকন চৌধুরী। বুধবার সকালে পাটকাপাড়া চা বাগানে তার মাথাহীন দেহটি মেলার পর বুধবার তা খোকনের বলে সনাক্ত করা হয়। এর দু’দিন পরে কালচিনির নিমতি চৌপথির কাছে একটি ঝোরার পাশ থেকে একটি মাথার অংশ উদ্ধার হয়। সেটা খোকনের বলেই সন্দেহ করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু মাথাটি দেখে সেই সন্দেহ খারিজ করে দেন খোকনের পরিবারের লোকেরা। ফলে ওই মাথা উদ্ধারে নতুন করে একটি মামলা রুজু করতে হয় পুলিশকে।

শনিবার রাতে জেলা পুলিশের একটি সূত্র দাবি করে, ওই মাথার অংশটি খোকনেরই। একটি খুনের চেষ্টার মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন খোকন। মঙ্গলবার তিন জন মিলে খোকনকে পাটকাপাড়ায় নিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সেখানে তাঁকে খুন করার পরে মাথাটি নিমতির ওই ঝোরার পাশে লুকিয়ে রাখে তারা। এর মধ্যে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

খোকনের দাদা রতন চৌধুরী কিন্তু প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, নিমতি থেকে উদ্ধার হওয়া মাথাটি তাঁর ভাইয়ের নয়। যদিও পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, তারা নিশ্চিত, ডিএনএ পরীক্ষায় এই মাথাটি যে খোকনের, তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

এখন প্রশ্ন, এই ডিএনএ পরীক্ষায় নমুনা পাঠাতে দেরি হচ্ছে কেন? সূত্রের খবর, শুক্রবার মাথার অংশটি উদ্ধারের পর শনিবারই সেটির ময়নাতদন্ত হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, “ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার পরই নমুনা পুলিশকে দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরও এই দেরি কেন?’’ পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টির সঙ্গে আলিপুরদুয়ার ও কালচিনি দু’টি থানা জড়িয়ে। তাই দুই থানার কাগজপত্র তৈরি করতে একটু সময় লাগবেই। তবে দ্রুততার সঙ্গে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠান হবে।” যদিও জেলা পুলিশের অন্য একটি সূত্রের দাবি, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যাবতীয় নমুনা এর মধ্যে পাঠান হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি। এসএমএস-এরও উত্তর দেননি তিনি।

পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টির সঙ্গে আলিপুরদুয়ার ও কালচিনি দু’টি থানা জড়িয়ে। তাই দুই থানার কাগজপত্র তৈরি করতে একটু সময় লাগবেই। তবে দ্রুততার সঙ্গে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। দু’এক দিনেই নমুনা পাঠানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন