কোচবিহারে গোলমাল থামাতে আক্রান্ত পুলিশ

কলেজ নির্বাচন নিয়ে গোলমালের জেরে আক্রান্ত হলেন পুলিশের এক ডিএসপি-ও। কলেজ নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে, এই দাবিতে এসএফআইয়ের আন্দোলনে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:০৪
Share:

কলেজ নির্বাচন নিয়ে গোলমালের জেরে আক্রান্ত হলেন পুলিশের এক ডিএসপি-ও।

Advertisement

কলেজ নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে, এই দাবিতে এসএফআইয়ের আন্দোলনে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের জেলাশাসক দফতর চত্বরে। এসএফআইয়ের অভিযোগ, কোচবিহারে কলেজ নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন পত্র তুলতে দেয়নি রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। কয়েক জায়গায় তাদের সংগঠনের কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাতে বিকেল ৩টে নাগাদ কাছারি মোড়ে পথ অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। সেখান থেকে মিছিল করে সাগরদিঘি চত্বর হয়ে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার মুখে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। পুলিশের দাবি, এসএফআই কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। সেই সময় ঊত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। তখন পুলিশের এক ডিএসপি সহ ২ জন জখম হন। তখন পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।

কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিপিএমের কোচবিহারের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা বলেন, “বিনা প্ররোচনায় ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের ঊপরে লাঠি চালায় পুলিশ। তাতে কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে। এ ভাবে আন্দোলন দমানো যাবে না।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি, কোচবিহারে বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, বাণেশ্বর, দেওয়ানহাট, দিনহাটা ও হলদিবাড়ি কলেজে টিএমসিপি ছাড়া কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। ওই কলেজগুলিতে তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের মুখে। তিনি বলেন, “বিরোধী সংগঠন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement