পুজোর মুখে ক্ষোভ

থামছে না রাজনৈতিক সংঘর্ষ

রাজনৈতিক দলগুলির কার্যকলাপ নিয়েও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অনেকেই অভিযোগ করেন, একটা উৎসবে রাজনৈতিক গণ্ডগোলের জন্যেই মানুষ উৎসবের আয়োজনে শামিল হতে চাইছেন না। ওই ঘটনার জন্য অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছে। বামেদের দাবি, দু’পক্ষের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র

পুজো দোরগোড়ায়। তার পরেও রাজনৈতিক সংঘর্ষ থাকছে না। কোথাও বোমা পড়ছে। কোথাও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সন্ধে নামলেই গ্রামের একাধিক বাজার কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়। পুজোর মুখে এমন অবস্থায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কেন পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে এলাকার পরিবেশ শান্ত করতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

রাজনৈতিক দলগুলির কার্যকলাপ নিয়েও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। অনেকেই অভিযোগ করেন, একটা উৎসবে রাজনৈতিক গণ্ডগোলের জন্যেই মানুষ উৎসবের আয়োজনে শামিল হতে চাইছেন না। ওই ঘটনার জন্য অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছে। বামেদের দাবি, দু’পক্ষের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। পর পর কয়েকটি সংঘর্ষে তা ব্যবহৃত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকর-সহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্তা অবশ্য দফায় দফায় জানিয়েছেন, পুজোয় শান্তি বজায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা হয়েছে।

দিন দু’য়েক আগে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার রামপুর বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে পুলিশের সামনেই দেদারে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। গুলি ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার জিরাণপুরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেখানে দিনের বেলা বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ওই দু’টি এলাকায় কমপক্ষে ১৫ জন জখম হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনও বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন বলেও অভিযোগ। বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা অভিযোগ করেন, তৃণমূল সব জায়গায় বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে হামলা করছে। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পরে কোথাও অশান্তি ছিল না। এখন সব জায়গায় তৃণমূল পুলিশ নিয়ে হামলা করছে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। পুজোর পরিবেশ নষ্ট করছে তৃণমূল।”

Advertisement

একই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ অভিযোগ করেন, দিন কয়েক আগেই তাঁর বাড়ির কাছে রামঠ্যাঙ্গায় তৃণমূলের একটি মিছিলের পরে বিজেপি বোমাবাজি করে। তার পর থেকে বাজার ফাঁকা হয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। বিজেপির দুষ্কৃতীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। কোথা থেকে এ সব সাপ্লাই হচ্ছে তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। পুলিশ দ্রুত করবে বলেই আশা রাখি।”

বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক দলের চাপানউতোরের মধ্যে দিনহাটা, মাথাভাঙা, কোচবিহার সদর এবং তুফানগঞ্জের একাধিক বাজারের অবস্থা খারাপ হয়ে আছে। নাজিরহাট ও বাসন্তিরহাটে দফায় দফায় শান্তি বৈঠক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “সমস্ত বাজারে যাতে শাস্তি বজায় থাকে, মানুষ যাতে ভয় না পান সে ব্যাপারে ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement