তোর্সা সাঁকো ভাঙার পরে মমতার মঞ্চে সতর্ক নজর

পুরসভা সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ বারে মঞ্চ তৈরিতে পূর্ত দফতরের সহযোগিতা নেবে পুরসভা। তা নিয়ে ইতিমধ্যে একপ্রস্ত আলোচনা শেষ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

প্রস্তুতি: রাসমেলার মাঠের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এই মাঠেই মেলার উদ্বোধন হবে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগেই ছট পুজোর দিন তোর্সা নদীতে তৈরি পুরসভার অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছিল। তা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা জেলা। ওই সাঁকো তৈরির দায়িত্বে থাকা দুই তৃণমূল নেতাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সে কথা ভেবেই এ বারে রাসমেলার মঞ্চ তৈরিতে সতর্ক হয়েছে পুরসভা। বিশেষ করে ওই মঞ্চে এ বার থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ভাবেই যাতে মঞ্চ দুর্বল ভাবে তৈরি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ বারে মঞ্চ তৈরিতে পূর্ত দফতরের সহযোগিতা নেবে পুরসভা। তা নিয়ে ইতিমধ্যে একপ্রস্ত আলোচনা শেষ হয়েছে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “ছটপুজোর ঘটনা একেবারেই আলাদা। রাসমেলার মঞ্চ সব সময় ভাল ভাবে তৈরি করা হয়। এ বারেও তার অন্যথা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে থাকবেন এটা আমাদের কাছে আনন্দের।”

এ বারে কোচবিহারে রাস উৎসব শুরু হবে ১১ নভেম্বর। ওইদিন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদেয়ন বিশেষ পুজো করে রাসচক্র ঘুরিয়ে ওই রাস উৎসবের সূচনা করবেন। সাধারণত ওই দিন থেকেই পুরসভার উদ্যোগে রাসমেলা শুরু হয়। এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাসমেলায় যোগ দেবেন ১৩ নভেম্বর। সে জন্য পুরসভা ১৩ নভেম্বর রাসমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। মঞ্চে নানা অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধনী পর্বে সেখানে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে থাকলে ভিড় একটু বেশি হবে সে কথা প্রায় সবার জানা। মঞ্চে জেলা প্রশাসনের আধিকারক, মন্ত্রীরাও থাকবেন। এর বাইরেও মেলা যে কয়েক দিন চলবে ওই মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের শিল্পীরাও ওই মঞ্চে অনুষ্ঠান করবেন। তাই কোনওভাবেই যাতে মঞ্চ দুর্বল না হয় সে কথা আগে থেকেই ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

ছটপুজোর জন্য কোচবিহার তোর্সা নদীতে কোচবিহার জল পরিবহণ সমবায় সমিতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পুরসভা।

পুজোর দিন বিকেলে সেই সাঁকো ভেঙে পড়ে। পুজোয় অংশ নিতে গিয়ে অনেকেই জলে পড়ে যান। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রত্যেক বছর একই ভাবে পুজো হলেও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তা হলে এ বারে কেন এমন হল, তা নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মানুষ। সেই কথা মাথায় রেখেই আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাসমেলার মঞ্চ তৈরিতে পূর্ত দফতরের সহযোগিতা নেবে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন