হিমঘরের সমস্যা, উদ্বিগ্ন আলুচাষি

হিমঘরের সমস্যায় ধুঁকছে উত্তরের আলু বলয় বলে পরিচিত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় দু’বছর থেকে সিতাইয়ে তৈরি ব্লকের একমাত্র হিমঘর বন্ধ পড়ে রয়েছে। ঘটনার দায় নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

চিন্তা: ধূপগুড়িতে মাঠে পড়ে রয়েছে আলু। ফাইল চিত্র

হিমঘরের সমস্যায় ধুঁকছে উত্তরের আলু বলয় বলে পরিচিত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় দু’বছর থেকে সিতাইয়ে তৈরি ব্লকের একমাত্র হিমঘর বন্ধ পড়ে রয়েছে। ঘটনার দায় নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরের নেতাদের তরজাও প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

সিতাইয়ের বাসিন্দা তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নৃপেন রায় বলেন, “তৃণমূল জমানায় ঢাকঢোল পিটিয়ে হিমঘরের উদ্বোধন করা হয়। সেটি দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে রয়েছে। দ্রুত হিমঘরটি চালু করা দরকার।” সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “হিমঘরের কাজ তো শুরু হয়েছিল বাম আমলেই।”

এলাকার চাষিদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, তাদের কথা কোনও শিবির ভাবছে না। জেলায় ব্যাপক আলু উৎপাদন হয়েছে। চাহিদা মতো বন্ড মিলছে না। যাঁরা কিছু বন্ড পেয়েছেন তাদেরও অনেককে মাথাভাঙা কিংবা দেওয়ানহাটে আলু রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। হিমঘরটি চালু থাকলে এতটা সমস্যা হত না। কয়েক জন আলু চাষির কথায়, চাপানউতোর ভুলে সবার উচিত উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের দিশা দেখানো।

Advertisement

২০১৪ সালে চালু হওয়া প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচে তৈরি ওই হিমঘরটি কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে? বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিতাইয়ের গাড়নাটায় হিমঘরটি তৈরি হয়েছিল মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে।

একটি ব্যাঙ্ক, নাবার্ড ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্থিক ও অন্য সহযোগিতা ছিল। সে বার এলাকার অনেকেই আলু রাখেন। অভিযোগ, লো ভোল্টের সমস্যা সহ একাধিক কারণে প্রচুর আলু পচে নষ্ট হয়। তার জেরেই সমস্যার সূত্রপাত। দিনহাটার মহকুমাশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, “চাষিদের যাতে সমস্যা না হয়, তা দেখা হচ্ছে।” দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য তৈরি আছি।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার ১২টি হিমঘরে উৎপাদনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ প্রায় দুই লক্ষ মেট্রিক টন আলু রাখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন