মাঝে জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর। ডান দিকে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী সমর মুখোপাধ্যায়। বাঁয়ে সিপিএমের স্থানীয় লোকাল কমিটির সম্পাদক জহুর আলম। কোথাও পদযাত্রা করে যৌথ প্রচার সারলেন, কোথাও পাশাপাশি বসে বুথে বুথে প্রচারের কৌশল ঠিক করতে কর্মিসভা করলেন।
পদযাত্রায় কারও হাতে কাস্তে-হাতুড়ি তো কারও হাতে হাতের পতাকা-ফেস্টুন। ঠিক ভাবে না চিনলে বোঝার উপায় নেই ওই মিছিলে কারা কোন দলের নেতা-কর্মী। রবিবার সকাল থেকে দিন ভর এ ভাবেই মালদহের রতুয়ায় জমে উঠল জোটের রবিবাসরীয় প্রচার। চাঁচল মহকুমার চারটি আসনের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ও মালতীপুরে জোট ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু ওই দুই আসনে যাই হোক না কেন, রতুয়ায় আসনে একজোট হয়েই পথে নামলেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা। চাঁচলেও জোটের তরফে কর্মিসভার পাশাপাশি প্রচার চালানো হয়। জোটের প্রচারের মূল নির্যাস ছিল, তৃণমূল হটাও, রাজ্য বাঁচাও। যদিও জোটকে সুবিধাবাদী বলে দাবি করে জোটের নেতাদের বিঁধতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতারা।
রতুয়া অবশ্য এমনিতেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ওই আসনে লোকসভা নির্বাচনের সংখ্যাতত্ত্বের ভিত্তিতে কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে। তার উপরে জোটের আবহে প্রচার শুরু হওয়ায় শাসকদলের প্রার্থীকে যে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে তা একান্তে মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারাও। এদিন সকালে রতুয়ার কাহালা এলাকায় জোটের উদ্যোগে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রার্থীকে নিয়ে হাজির ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী। কর্মিসভায় ছিলেন স্থানীয় প্রথম সারির বাম নেতারাও। কাহালা থেকে কালুটোলা পর্য়ন্ত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পদযাত্রা করেন জোটের নেতারা। পদযাত্রা করা হয় বাহারাল থেকে সাহাপুর পর্যন্তও!
জোটের দাবিকে অবশ্য একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল শিবির। রতুয়ার মানুষ কংগ্রেস-বামকে ছুঁড়ে ফেলবে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।